বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। উন্নত দেশগুলোতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন টিভি ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটে ‘ইনএগোরেশন সিরিমনি অব টেলিভিশন এক্সপোর্ট টু ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান ডেপুটি হেড অব মিশন মাইকেল শুল্থহাইস।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম এবং পরিচালক রাইসা সিগমা হিমা এবং মাইকেল শুল্থহাইসের স্ত্রী শার্লোট ক্লেমেনসেন। এ সময় তারা কেক ও ফিতা কেটে জার্মানিতে ওয়ালটন টিভি রফতানির কার্যক্রমের শুভসূচনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, প্রতিষ্ঠানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. হুমায়ূন কবীর, উদয় হাকিম, গোলাম মুর্শেদ, আলমগীর আলম সরকার, ইউসুফ আলী ও আমিন খান, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মাইকেল শুল্থহাইস বলেন, বিশ্বের সেরা মেশিনারিজ সমৃদ্ধ ওয়ালটন কারখানায় পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে আমি অভিভূত। ওয়ালটন একটি বড় লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। উচ্চমানের পণ্য উৎপাদন ও রফতানির মাধ্যমে ওয়ালটন জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি বাজার জার্মানি। এতোদিন জার্মানিতে বাংলাদেশের রফতানিখাত তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু ইলেকট্রনিক্স পণ্য দিয়ে জার্মানিতে নতুন রফতানি খাতের শুভ সূচনা করলো ওয়ালটন। এতে দুই দেশের বাণিজিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
ওয়ালটনের জার্মান মার্কেট বিষয়ক প্রধান তাওসীফ আল মাহমুদ বলেন, জার্মানিতে টিভি রফতানির মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সূচনা করলো ওয়ালটন। এতে ইউরোপে বাংলাদেশি ইলেকটনিক্স পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ সহজ হবে।
তিনি জানান, এ বছর ক্রিসমাস উপলক্ষে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অনলাইন কেনাকাটার প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে পাওয়া যাবে ওয়ালটনের টিভি, রেফ্রিজারেটর এবং এয়ার কন্ডিশনার (এসি) । ইউরোপের যেকোনো দেশের ক্রেতারা ঘরে বসেই কিনতে পারবেন ওয়ালটন পণ্য।
অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় নিযুক্ত ওয়ালটন আইবিইউ শাখার ইনচার্জ আব্দুর রউফ বলেন, প্রথম ধাপে জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের কাছ থেকে তিন কন্টেইনার টেলিভিশন নিচ্ছে। এ রফতানির মাধ্যমে দেশের রিজার্ভে যুক্ত হবে প্রায় তিন লাখ মার্কিন ডলার। এ বছরই তারা ওয়ালটন থেকে আরও এক লাখ পিস টিভি নেবে।
ওয়ালটন টেলিভিশন বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, ওয়ালটন টেলিভিশন তৈরি হয় আন্তর্জাতিক মান ও স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে। ওয়ালটন টেলিভিশন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মুক্ত এবং রয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এতে টেলিভিশন তৈরি ও রফতানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে সিই, আরওএইচএস, ইএমসি, ইত্যাদি সনদ।
ওয়ালটন আইবিইউর প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ব্র্যান্ডের কাতারে আসার লক্ষ্য ওয়ালটনের। এ বছর ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ পণ্য রফতানি করছে ওয়ালটন। আর ২০২১ সালের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণের পণ্য রফতানি লক্ষ্যে কাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
আরআইএস/