রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে গণফোরাম সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী একথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলোকে খেলাপি ঋণের হাত থেকে বের করে আনতে না পারলে ব্যাংকের অবস্থা খারাপ হবে।
তিনি বলেন, এটা স্বতঃসিদ্ধ, আমরা সবাই জানি যদি ব্যাংকিংখাত স্বাভাবিকভাবে চলতে না পারে এবং যদি ঋণেরভারে জর্জরিত হয়ে যায়, আর যদি নন-পারফর্মিং লোনের পরিমাণ বেড়ে যায়, তাহলে আমরা আমাদের অর্থনীতির গতিশীলতা থেকে বিচ্যুত হবো। আমরা সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমাদের ব্যাংকখাতের ‘রেট অব ইন্টারেস্ট’ (সুদের হার) কমাবো। সুদের হার কমানো না গেলে নন-পারফর্মিং লোন কমবে না।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেকের ধারণা আমাদের ব্যাংকিংখাত নাজুক অবস্থায় আছে। কিন্তু আমাদের ব্যাংকিংখাত এতো খারাপ বলবো না। যদি এতোই খারাপ হতো তাহলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে অর্জন এটা হতো না। ব্যাংকিংখাত বাদ দিয়ে অর্থনৈতিক অর্জন হয় না। আমাদের দেশের ব্যাংক ঋণের সুদের হার ১৪-১৫ ভাগ। এটা বিশ্বের কোনো দেশে নেই। প্রধানমন্ত্রী এই সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসার কথা বলেছেন। তিনি বুঝে শুনে চিন্তা করেই এ কথা বলেছেন। আমরা চিন্তা করছি, চিন্তা-ভাবনা করেই একটা রেট নির্ধারণ করবো। আমরা কাজ শুরু করেছি, সুদের হার কমাবো, সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
এসকে/জেডএস