রোববার (২৮ এপ্রিল) জেলার কয়েকটি ভুট্টা খেতে কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ভুট্টা ওঠার শুরুতেই ভালো দাম না পাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় তুলতেই হিমশিম খেতে হবে তাদের।
শিবালয় উপজেলার নবগ্রাম এলাকার ভুট্টা চাষি আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, আমি ৫৪ শতাংশ জমিতে ভুট্টার আবাদ করছি।
তবে পাকা ভুট্টা বেশি দিন জমিতে রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া এলাকার জামাল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর ভুট্টায় লাভ বেশি হওয়ায় পুনরায় আবাদ করেছি। এ বছর হাটে ভুট্টার যে দাম তাতে উৎপাদন খরচও ওঠাতে পারবো না। কাঁচা ভেজা ভুট্টা প্রতিমণ ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা এবং শুকনো ভুট্টা প্রতিমণ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মণ ভুট্টা উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০০ টাকা।
মৌসুমি ভুট্টা ব্যবসায়ী মোকসেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে নতুন ভুট্টা উঠতে শুরু করেছে। এবার ভুট্টার দামটা গত বছরের চেয়ে অনেকটাই কম। মিল মালিকরা এ বছর ভুট্টা কিনতে অনাগ্রহী, যার ফলে বাজারে ভুট্টার দামটা নেমে গেছে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার একে এম নাজমুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর মানিকগঞ্জে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ১৫ হাজার হেক্টর জমি। কিন্তু সেখানে ১৬ হাজার ৮০৮ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। বাজারে ভুট্টার দাম কিছুটা কম হওয়াতে চাষিদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
জিপি/এইচএ/