বৃহস্পতিবার (২ মে) অর্থ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান এই সম্মতি দিয়েছেন।
এর আগে পুঁজিবাজারে লেনদেনে নিম্নগতির ধারা প্রতিরোধের লক্ষে সুদ ও আসল হিসেবে আদায়কৃত ৮৫৬ কোটি টাকা আবর্তনশীল ভিত্তিতে পুন:ব্যবহারে সম্মতি চেয়ে অর্থ বিভাগে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজার এখন একটু নিম্নগতিতে আছে। সেটা কাটিয়ে উঠতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
উক্ত তহবিলের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ এর পরিবর্তে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। সবশেষ বিতরণকৃত ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৩১ মার্চ ২০২৩ নির্ধারণ করা হলো।
জানা গেছে, তহবিল থেকে আইসিবির মাধ্যমে বিতরণকৃত ঋণের সুবিধাভোগী ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারী ছাড়াও বিস্তৃত পরিসরে (মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ ইত্যাদি মূলধন বাজারের অন্যান্য মধ্যবর্তী পক্ষ সমেত) তারল্য যোগানের সম্ভাব্যতা নির্ধারণের জন্য বিএসইসি, আইসিবি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বিদ্যমান তদারকি কমিটিকে দায়িত্ব প্রদান করবে। চলমান ব্যবস্থার অনবৃত্তিক্রমে সামগ্রিক তদারকি কমিটির ওপর ন্যস্ত করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজার এখন একটু নিম্নগতিতে আছে। সেটা কাটিয়ে উঠতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৬ সালে যখন পুঁজিবাজারের অবস্থা খারাপ ছিল তখন ৩শ কোটি টাকা থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে ৯শ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই অর্থ পরিশোধের মেয়াদ ছিল ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯। তবে ৯শ কোটি টাকার মধ্যে ৮৫৬ কোটি টাকা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দিয়েছে আইসিবি। বাংলাদেশ ব্যাংক সেই টাকা আবারও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য অর্থবিভাগে আবেদন করেছিল। অর্থবিভাগ অনুমতি দিয়েছে। এখন জরুরী ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা হবে। এতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হবে। আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এসই/এমআইএস/এমএমএস