ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বসুন্ধরা শপিং মলে জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২২
বসুন্ধরা শপিং মলে জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা

বছরজুড়েই কেনাকাটায় রাজধানীবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে পান্থপথের বসুন্ধরা শপিং মল। তবে ঈদ সামনে এলে কেনাকাটার ধুম পড়ে জনপ্রিয় এই শপিং মলে।

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছরে কিছুটা ভাটা থাকলেও এবার ঈদের আগেই জমে উঠেছে কেনাকাটা। গতকাল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কেনাকাটায় অন্য দিনের তুলনায় ভিড় ছিল বেশি।

কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভিড় এড়াতে রোজার শুরু থেকেই এখানে ক্রেতার সমাগম ঘটেছে এবার। রমজান মাসের মাঝামাঝি এসে পুরোদমে জমে উঠেছে কেনাকাটা।

বসুন্ধরা শপিং মলে ঢুকেই দেখা গেল, চলন্ত সিঁড়ি আর লিফটগুলোর সামনে ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়। অনেককে দেখা গেছে, পুরো পরিবার নিয়ে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। আড়ং, ইয়েলো, কিউরিয়াস, ইনফিনিটি মেগামল, ইজি, জারা, প্লাস পয়েন্ট, সেইলর, জেন্টলপার্কসহ প্রায় সব দোকানেই ক্রেতারা নিজেদের পছন্দের পোশাক বেছে নিতে ভিড় করেছে।

ফ্যাশন হাউস আড়ংয়ের সামনে কথা হয় ধানমণ্ডি থেকে কেনাকাটা করতে আসা ইমতিয়াজ আহমেদের সঙ্গে। পুরো পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন তিনি। ইমতিয়াজ বলেন, ‘কেনাকাটা করা থেকেই শুরু হয়ে যায় ঈদের আনন্দ। উৎসবের পুরো আনন্দ পেতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। ছেলেমেয়েদের কেনাকাটা শেষ করেছি আজ। দুই দিন পর আবার এসে নিজের কেনাকাটা করব। ’

প্রতি ঈদেই শৌখিন নারীদের শাড়ির দোকানগুলোতে ভিড় করতে দেখা যায়। এবারও লেভেল ফোরে শাড়ির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। ছোঁয়া, জামদানি হাউস, নীলাচল শাড়িজে বিক্রেতারা নিজেদের সংগ্রহে থাকা শাড়ি মেলে ধরছেন ক্রেতাদের সামনে। ঢাকার অন্যতম শাড়ির দোকান শালিমারের ব্যবস্থাপক মো. সাআ’দাত বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার থেকে ভালোই ক্রেতা পাচ্ছি আমরা। তবে দু-এক দিনের ভেতর শাড়ির বাজারে ভিড় আরো বাড়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। এখনো অনেকে শাড়ি পছন্দ করে রেখে যাচ্ছেন দু-এক দিন পরে কিনবেন বলে। ’

থ্রিপিসের দোকান স্টাইল ইকোতে কথা হয় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী লাবিবা আনজুমের সঙ্গে। লাবিবা জানান, তাঁরা তিন বান্ধবী এসেছেন থ্রিপিস কিনতে। ফেসবুকে অনেক শোরুম তাদের পোশাক নিয়ে লাইভ করে। ফেসবুকে লাইভ দেখে বসুন্ধরায় এসেছেন সরাসরি দেখে কেনার জন্য। লাবিবার সঙ্গে থাকা তাঁর বান্ধবী ফারিয়া জানালেন, ড্রেস কেনা হয়ে গেলেই তাঁরা ছুটবেন নতুন কসমেটিকস কী এসেছে তা দেখতে।

‘ঈদে জামাকাপড়ের সঙ্গে নতুন এক জোড়া জুতা না কিনলে হয়ই না, তাই ছেলেমেয়ের জন্য জুতা কিনলাম। এখন আমার আর আমার হাসব্যান্ডের জুতা কিনব,’ বললেন লালমাটিয়া থেকে কেনাকাটা করতে আসা মালেকা বেগম। প্রতি ঈদেই জুতার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। এবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি। বাটা, বে, এপেক্সসহ অন্যান্য জুতার দোকানে বেশ ভিড় দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২২
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।