ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বই উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঞ্চের সামনে এসে কথা বলেন ফেরদৌস ও মম। শিক্ষার্থীসহ উপস্থিত সবাইকে সালাম ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিনয়ের আদলে বক্তব্য শুরু করেন ফেরদৌস-মম।
ফেরদৌস: এটি একটি অন্য ধরনের উৎসব।
মম: স্কুলে যখন নতুন বই পেতাম, ঘ্রাণ নিতাম।
ফেরদৌস: আমার বাবা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ছিলেন। সারাক্ষণ বই, স্কুল, অফিস নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। উনি এখন নেই, উনার কলিগদের সঙ্গে দেখা হলো। বই ঘরে সাজিয়ে রাখলে হবে না, পড়তে হবে।
মম: নতুন বই পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নৈতিক অবস্থানটাও পরিষ্কার রাখতে হবে।
ফেরদৌস: অভিভাবকদের উচিত শিশুদের সঙ্গে বন্ডিং তৈরি করা। শিশুর মধ্যে যেন কোনো ঘাটতি না থাকে। (শিশুদের উদ্দেশে) তোমরা আগামীর কাণ্ডারি।
ফেরদৌস: আমার একটা নতুন ছবি, ‘এক কাপ চা’র একটা ডায়ালগ শুনবে? (এসময় হ্যাঁ-সূচক জবাব আসে শিক্ষার্থী ভরা মাঠ থেকে।
ফেরদৌস: নিজের যে স্বপ্ন তার দিকে দৃঢ় চিত্তে এগিয়ে যাও…, পড়ালেখার পাশাপাশি বিনোদনও একটা অংশ। মা-বাবারা যখন পারমিশন দেবে তখন দেখবে। (আবারও হাত নেড়ে হ্যাঁ-সূচক জবাব দেয় শিশুরা)
আকাশে ড্রোন
বই বিতরণ উৎসবের ভিডিও ধারণ করতে মাঠের আকাশে উড়ছিল ড্রোন। একদিক থেকে আরেক দিক, আবার উপর-নিচ করছিল ছোট ড্রোনটি। আর এতে শিশুদের ছিল আনন্দ। মাঠ থেকে ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করছিলেন একজন।
সিসিমপুর
বিতরণ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ইউএস এইড সিসিমপুর বাংলাদেশ’র আয়োজনে পরিবেশনা হয় একটি সাংস্কৃতিক পর্ব। বাঘের বেশে হালুম ছাড়াও অন্য দুই চরিত্র টুকটুকি ও ইকরি নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করে শিশুদের সঙ্গে, মেলায় হাত। তাদের সঙ্গে হাত মেলাতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শিশুরা।
সাংস্কৃতিক পর্ব
প্রাথমিকের ছোট শিশুদের জন্য পরিবেশন করা হয় দেশাত্মবোধক গান। ছিল- ‘আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরি…,’ ‘আমরা করব জয়…’ সঙ্গীত পরিবেশনা। শিশুদের জনপ্রিয় এসব সঙ্গীতের সঙ্গে কণ্ঠ মেলাতে দেখা যায় অনেক শিশুকেই।
বেলুন, ফেস্টুন আর ব্যানার টানানো মাঠে সব শেষে ছোট্ট শিশুদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় নৃত্য, শিশু-অভিভাবকসহ সবাই উপভোগ করে উৎসবের নানা অনুসঙ্গ। আয়োজনে আরও ছিল ব্যান্ড দলের পরিবেশনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
এমআইএইচ/পিসি
**ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে বই উৎসবে প্রাণের উচ্ছ্বাস