ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

বিশ্বমানের গবেষণা চলছে শেকৃবিতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৮
বিশ্বমানের গবেষণা চলছে শেকৃবিতে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: শেকৃবিতে বর্তমানে মানসম্মত গবেষণা হচ্ছে। শিক্ষকরা দেশের নানা সমস্যা সমাধানের জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপদ খাদ্য চাষের উপায় নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। ঢাকা শহরকে সবুজে আচ্ছাদিত করার জন্য ছাদ বাগান নিয়ে চলছে ব্যাপক গবেষণা। সুন্দরবনের সব ধরনের প্রাণীর জেনেটিক বার কোড নির্ণয় ও বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবনসহ আর্ন্তজাতিক মানের মৌলিক ও ফলিত গবেষণা করছেন শিক্ষকরা।

রোববার (৪ মার্চ) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন।
 
বিশ্ব র্যাংকিং এ এগিয়ে যাওয়ার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। প্রকল্পটি শেষ হলে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসবে শেকৃবি। আধুনিক গবেষণাগার স্থাপিত হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রায় শ’খানেক আর্ন্তজাতিক পর্যায়ের গবেষণা চলছে। প্রতি বছরই দেশি-বিদেশি ছাত্র সংখ্যা বাড়ছে। অত্যাধুনিক ই-লাইব্রেরি গড়ে তোলা হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাস ওয়াইফাইয়ের আওতায় এনেছি। শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট সহজলভ্য করা হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দুর্বলতা ও ত্রুটিগুলো আমরা শনাক্ত করেছি। প্রায় ৩৬টি কর্মশালার মাধ্যমে তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। ফলে ধীরে ধীরে বিশ্ব র্যাংকিং এ এগিয়ে যাচ্ছে শেকৃবি।  

‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও বিসিএস ও অন্য সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় তারা ভালো করছে। আমি সবসময় শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য উদ্বুদ্ধ করি। বৃত্তিপ্রাপ্তিতে আমার শিক্ষার্থীরা এশিয়ার অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভালো স্কোর করছে। ’ 

শিক্ষার্থীরা অন্যায় কাজে না জড়িয়ে যাতে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সবসময় নিয়োজিত থাকে, সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চারও ব্যবস্থা রয়েছে-জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, বিলুপ্ত প্রায় গাছ দিয়ে পুরো ক্যাম্পাসকে একটি মিনি বলদা গার্ডেন বানানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ ফুট উচ্চতার বঙ্গবন্ধুর একটি মনুমেন্ট স্থাপিত হবে। আর্ন্তজাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যৌথ গবেষণা প্রকল্প খুব শিগগির শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৮
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।