ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

১৮ বছরে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

মহিবুল আলম সবুজ, শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
 ১৮ বছরে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৮ বছরে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেকৃবি: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কৃষি শিক্ষার সর্বপ্রাচীন বিদ্যাপীঠ ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী রোববার (১৫ জুলাই)। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

পরে আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সকালের কর্মসূচি শেষ হবে।

বিকেলে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যায় আলোচনা সভা এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে। আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

কর্মসূচি পালনে এরইমধ্যে নতুন রূপে সেজেছে গোটা বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসজুড়ে করা হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জা।

১৯১৯ সালে রাজকীয় কৃষি কমিশনের গৃহীত প্রস্তাব অনুসারে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় তিনশ’ একর জমিতে ১৯৩৮ সালের ১১ ডিসেম্বর তৎকালীন পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী ‘বাংলার বাঘ’ খ্যাত একে ফজলুল হক ‘দি বেঙ্গল অ্যাগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

রাজনৈতিক পট পরিক্রমায় প্রতিষ্ঠানটির নাম বদল হয়েছে তিনবার। ১৯৪৫ সালে পাকিস্তান আমলে এর নাম হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান অ্যাগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট’ এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর নাম রাখা হয় ‘বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট’ (বিএআই)। সবশেষ ২০০১ সালের ১৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে বিএআইকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেন।

নাম কয়েকবার পরিবর্তন হলেও প্রায় আট দশক ধরে দেশের কৃষি উন্নয়নে এবং দক্ষ কৃষিবিদ তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি। যুগোপযোগী ও আধুনিক মানের শিক্ষা পদ্ধতি, উচ্চতর ও লাগসই কৃষি প্রযুক্তি গবেষণার কারণে ৮৬.৯৭ একরের এ বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন পরিণত হয়েছে ‘দি সেন্টার অব এক্সিলেন্সে’।  

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি অনুষদের আওতায় ৩৪টি বিভাগে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে যুক্ত আছেন ৩৬০০ শিক্ষার্থী।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
এইচএ/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।