ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

খাগড়াছড়িতে পরীক্ষার্থী বাড়লেও কমেছে পাসের হার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
খাগড়াছড়িতে পরীক্ষার্থী বাড়লেও কমেছে পাসের হার

খাগড়াছড়ি: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবারও পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। পার্বত্য এ জেলায় এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ৪৪৩ জন। পাস করেছে ২ হাজার ৬৮৬ জন। পাসের হার ৩৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। যা গত ৪ বছরের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন। জিপিএ-৫ এসেছে ৮টি।  

সর্বশেষ ২০১৪ সালে তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে পিছিয়ে থাকা খাগড়াছড়িতে পাসের হার ছিল ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। ২০১৫ সালে এসে সে হিসেব দাঁড়ায় ৫০ দশমিক ২৮ শতাংশে।

২০১৬ সালে ৫০ দশমিক ১৬ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৪৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
 
প্রাপ্ত তথ্য মতে, খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৭ হাজার ৪৪৩ জন। এরমধ্যে ৩ হাজার ৯৭০ জন ছেলে ও ৩ হাজার ৪৭৩ জন মেয়ে। পাস করেছে ২ হাজার ৬৮৬ জন। পাসের হার ৩৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। এবার অনুপস্থিত ছিল ৮৭ জন। জিপিএ-৫ এসেছে ৮টি। এরমধ্যে ৬টি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবং দু’টি মানবিক বিভাগ থেকে।
 
তিনটি বিভাগের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ৯৯৪ জন। পাস করেছে ৪৫৮ জন। এরমধ্যে ২৫৪ জন ছেলে এবং ২০৪ জন মেয়ে। অনুপস্থিত ছিল ৬ জন। এ বিভাগে পাসের হার ৪৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এসেছে ৬টি।

মানবিক বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ৪ হাজার ৪৬৩ জন। পাস করেছে ১ হাজার ৩২৬ জন। এরমধ্যে ৫০৮ জন ছেলে এবং ৮০৮ জন মেয়ে। অনুপস্থিত ৬০ জন। পাসের হার ৩০ দশমিক ১২ শতাংশ। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এসেছে দু’টি।
 
ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৯৮৬ জন। এরমধ্যে ১ হাজার ১৬২ জন ছেলে এবং ৮২৪ জন মেয়ে। পাস করেছে ৯০২ জন। এরমধ্যে ৪৬৭ জন ছেলে এবং ৪৩৫ জন মেয়ে। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।
 
এবার প্রতিবেশী পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও বান্দরবানের ফলাফল খাগড়াছড়ির চেয়ে ভালো। এবার রাঙামাটিতে পাসের হার ৪৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং বান্দরবানে পাসের হার ৬২ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এ দু’টি জেলায় পাসের হার বাড়লেও এবার খাগড়াছড়িতে কমেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।