ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে পশ্চিমা বিশ্বকে সরব হতে হবে

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে পশ্চিমা বিশ্বকে সরব হতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতনকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জোরালো চাপ প্রয়োগের জন্য পশ্চিমা বিশ্বকে সরব হওয়া দরকার।

রোববার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের কনফারেন্স রুমে ‘রোহিঙ্গা: রাজনীতি, জাতিগত নিধন ও অনিশ্চয়তা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে ‘রোহিঙ্গা সংকট: অনিশ্চয়তা, প্রতিকূলতা ও সমাধান’ শিরোনামের সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তারা এ অভিমত দেন। সম্মেলনটির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগ।

 

এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপান স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ পাপা কিসমা সিলা। এটি পরিচালনা করেন ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান।

বক্তারা বলেন, ইতিহাসে গণহত্যার দায় স্বীকার করতে অনীহা প্রকাশ করেছে অনেক দেশ। মিয়ানমারও একই পথে হাঁটছে। পশ্চিমা বিশ্বের জোরালো পদক্ষেপই পারে তা সমাধান করে মিয়ানমারকে বিচারের মুখোমুখি করতে। এটি একটি রাজনৈতিক সমস্যা, একে রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে।

তারা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল ভারত। পরে দেশে প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে সেই সংকটের সমাধান হয়। দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে হবে।  

এছাড়া এই বিষয়ে মিয়ানমারের সুশীল সমাজের নীরবতার জন্যও নিন্দা জানান বক্তারা।

সম্মেলনে ২১টি সেশনে ৭২টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্ধশত গবেষক, শিক্ষক, আইনজীবী ও শিক্ষার্থীরা। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের সহযোগী অধ্যাপক মিজ কেলি লপার। প্রবন্ধটিতে রোহিঙ্গা সমস্যার আন্তর্জাতিক আইনের প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

কনফারেন্সে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, নেপাল ও ব্রুনাইয়ের প্রতিনিধিরাও।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
এসকেবি/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।