নন্দীগ্রাম থেকে ফিরে: ক্ষমতায় গেলে নানা উন্নয়ন করবো। নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি করবো।
কিন্তু ক্ষমতায় গেলে কেউ কাউকে চেনে না। মনেও রাখে না। তখন গরীবের কথাও মনে পড়ে না। বরং তাদের দেখলে বিরক্ত বোধ করেন তারা। উন্নয়নের ভাবনাও উবে যায় মন থেকে। কারণ পকেট ভরানোর চিন্তায় তারা তখন মত্ত। এতে করে সৃষ্টি হয় না নতুন কাজের ক্ষেত্র। নাগরিক সেবার কথাও মনে থাকে না। ফলে যেই লাউ সেই কদু।
তাই গরীবের কিছু করার নেই। ভোট আসে যায় কিন্তু তাদের ভাগ্য বদলায় না। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটছে না। প্রতি বারের মতো এবারো একই কথা বলে প্রার্থীরা তাদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। প্রার্থীদের মুখে এসব কথা শুনতে আর ভাল লাগে না। তবু ভোট দিতে হয়। এবারো দিবেন। কিন্তু কোন দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দেবেন -সেটা এখনও ঠিক করেননি সাধারণ ভোটাররা।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভায় সরেজমিনে গেলে শহরের চা-স্টলে অবস্থানরত ভোটারদের সঙ্গে কথা হলে এমনই তথ্য ওঠে আসে।
আফতাব হোসেন। পেশা কৃষি ও ব্যবসা। শহরের বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত নাসির উদ্দিন মণ্ডলের চা-স্টলে চা পান করছিলেন তিনি।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, সবার আগে প্রার্থীর যোগ্যতা দেখবো। যার কাছে প্রয়োজনে যেতে পারবো। যার রাগ ক্ষোভ নেই। যিনি এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন -এসব গুণ যে প্রার্থীর মধ্যে দেখবো তাকেই ভোট দেবো।
ট্রাক চালক ইয়াকুব আলী বাংলানিউজকে বলেন, যাকে ডাকলে কাছে পাবো। যিনি জনগণের কথা শুনবেন। ধনী-গরীবের সহায়তায় সমানভাবে এগিয়ে আসবেন তাকে এবার ভোট দেবো।
শ্রমিক শাহজাহান আলী বলেন, রানিং মেয়রই একজন ভাল লোক। তাই এবারো তাকেই ভোট দেবো বলে ঠিক করেছি।
দই-মিষ্টির ব্যবসায়ী ইমরান বলেন, যিনি উন্নয়নমূলক কাজ করবেন তাকে ভোট দেবো। চা দোকানি নাসির উদ্দিন মণ্ডল বলেন, অভাবের সংসার। এই দোকানের আয় দিয়ে সংসার চলে। তাই সংসারের খরচ যোগানোর ভাবনায় ব্যস্ত আছি। ভোটের দিন ভোটের চিন্তা করলেই ভাল হবে।
মুদি ব্যবসায়ী সবুজ আলী ও ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ক্ষমতা পেলে কেউ কাউকে চেনে না। এরপরও ভোট দিতে হয়। তাই ভোট দিবো। তবে ধানের শীষ ও নৌকার প্রার্থীর মধ্যেই সম্ভবত এবার লড়াই হবে বলে তাদের ধারণা।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
এমবিএইচ/এমজেড
** ধানের শীষ মাড়িয়ে এবার ভাসবে নৌকা!
** পোস্টারে পোস্টারে ভিন্ন সাজে নন্দীগ্রাম