ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

কুলাউড়া থেকে হুসাইন আজাদ

শোর উঠেছে ধানের শীষের, ভোট পড়বে নৌকায়

হুসাইন আজাদ ও মাহবুবুর রহমান রাহেল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
শোর উঠেছে ধানের শীষের, ভোট পড়বে নৌকায় ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কুলাউড়া, মৌলভীবাজার থেকে: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে শোর উঠেছে। বিএনপি প্রার্থীর ‘পক্ষে’ কথাও বলছেন স্থানীয় ভোটাররা।

তবে এটাকে কেবলই ‘শোর’ বলছেন কেউ কেউ। তারা বলছেন, ভোট নৌকা মার্কায়ই পড়বে। শেষ হাসি হাসবেন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনীত প্রার্থীই।

এবারের পৌরসভা নির্বাচনে কুলাউড়ায় মেয়র পদে লড়ছেন চারজন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগের একে এম সফি আহমদ সলমান (নৌকা প্রতীক), বিএনপির কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেল (বর্তমান মেয়র, ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মুহিবুর রহমান লাল (লাঙল) এবং স্বতন্ত্র সফি আলম ইউনুস (উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, নারিকেল গাছ প্রতীক)। এছাড়া, এখানে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৩৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন আটজন।

নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন হলেও ভোটাররা বলছেন মূল লড়াই হবে ধানের শীষ-নৌকা। অনেকে বলেছেন, এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ হওয়ায় ভোট জাতীয় নির্বাচনের মাত্রা নেবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে চা বাগানের ভেতর দিয়ে আঁকাবাঁকা সড়কে কুলাউড়া পৌঁছে নির্বাচনের হাল-হকিকত নিয়ে আলাপ হয় স্থানীয়দের সঙ্গে। কুলাউড়ার ব্যস্ততম উত্তর বাজারের ফুটপাতে শীতের পোশাকের অস্থায়ী দোকানে ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন বিক্রেতা মো. শাহজাহান।

তিনি বলেন, শোর তো উঠেছে ধানের শীষের। কিন্তু ভোট নৌকায়ই পড়বো। আমার ঘরের ১৮ ভোটই পড়বো নৌকায়।

তবে, পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীর প্রচারণা অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।

মূল সড়ক থেকে বেরিয়ে উপজেলা সড়কে কথা হয় স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক আবদুল মোচ্ছরি, কাবেরী ভট্টাচার্য ও মনিকা রাণীর সঙ্গে। তারা বলেন, লড়াইয়ের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে, মনে হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি হবে।

১৫ হাজার ৮৮০ ভোটারের ছোট্ট কুলাউড়া পৌরসভার রাজনীতিক-বিশিষ্টজনদের প্রায় সবাইকে এলাকাবাসী চেনেন উল্লেখ করে আবদুল মোচ্ছরি বলেন, অনেকেই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তবে কারা উন্নয়ন করতে পারবেন তা জনগণ বিবেচনা করেই ভোট দেবে।

তাদের সঙ্গে আলাপের আগে স্টেশন রোডে কথা হয় বৃদ্ধ আবুল ফজলের সঙ্গে। সেসময় একযোগে স্টেশন রোডে চক্কর দিচ্ছিলো তিনটি প্রচারণার মাইকিং গাড়ি। মাইকিংয়ে মুখর হয়ে উঠছিলো কুলাউড়া স্টেশনপাড়া।

ফজল দোকান থেকে পান কিনতে কিনতেই আলাপ করছিলেন, নৌকা আর ধানের শীষ নির্ধারিত হওয়ায় এবার দুই কাতারে ভোট হবে। এখন পর্যন্ত নৌকা বা ধানের শীষ কারও পালেই হাওয়া বেশির কথা বলা যাচ্ছে না। নির্বাচনের দু’চার দিন আগে প্রচারণায় লোক জমবে, তখনই বোঝা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
এইচএ/এএ

** আ’লীগের ভরসা ইমেজ, বিএনপির ভরসা প্রতীক
** নৌকায় ভাঙছে বিভেদের দেয়াল
** ‘রাজা’ ‘বখত’ নয়, এবার লড়াই দলীয়
** নৌকা-ধানের শীষ নয়, লড়াই কালাম-শামছুর
** ছাতকে ‘ফ্রি চা-পানি’, মিলছে ‘টেকা-টুকা’ও
**  জকিগঞ্জবাসীর দুঃখগাঁথা
** ওপারে শীতের চাদর, এপারে নির্বাচনী উত্তাপ
** বছর ধইরা মাঠ ঠিক করছি, এখন সরতাম কিতার লাগি
** লাখ লাখ টেকার ভুট এক হাজারে বেচিয়া কতদিন খাইবা?
** এখানে কুনো ভুটো কারচুপি অইছে না

** ডিজিটাল রেল, সময়ানুবর্তী রেল

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।