শিবগঞ্জ (বগুড়া) থেকে ফিরে: পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা। ভোটারের ঘরে ঘরে ছুটছেন প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) শিবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনী হালচাল সম্পর্কে জানতে সরেজমিনে গেলে এমন দৃশ্যই ধরা পড়ে বাংলানিউজের ক্যামেরায়।
শিবগঞ্জ পৌরসভা সংরক্ষিত তিনটিসহ মোট ১২টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে গঠিত। মোট ভোটার ১৬ হাজার ১৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ২৪ জন ও মহিলা ৮ হাজার ১৬৭ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯ ও ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪৮টি।
আসন্ন পৌরনির্বাচনে এই পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে তৌহিদুর রহমান নৌকা প্রতীক, বিএনপির দলীয় প্রার্থী বর্তমান মেয়র মতিয়ার রহমান মতিন ধানের শীষ প্রতীক ও স্বতন্ত্র ব্যানারে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বর্তমান কাউন্সিলর এসএম তাজুল ইসলাম নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে নেমেছেন।
এছাড়া সাধারণ (পুরুষ) কাউন্সিলর পদে মোট ২৫ জন ও সংরক্ষিত (মহিলা) কাউন্সিলর পদে মোট ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন।
জয় ঘরে তুলতে এই প্রার্থীরা পুরোদমে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুরো নির্বাচনী এলাকা পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে। কিন্তু ব্যতিক্রম বিএনপির বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী। এখনও মাঠে নামেননি তিনি। হাজারো পোস্টারের ভিড়ে নেই তার কোনো পোস্টার। বিষয়টাতে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার মহিলারা কাউন্সিলর পদে আঙ্গুর, কাঁচি, গ্যাসের চুলা, চকলেট, চুড়ি, পুতুল, ফ্রক, ভ্যানিটি ব্যাগ, মৌমাছি, হারমোনিয়াম প্রতীক এবং পুরুষ কাউন্সিলর প্রার্থীরা পাঞ্জাবি, পানির বোতল, ফাইল কেবিনেট, ব্রিজ, ব্ল্যাক বোর্ড, স্ক্রু ড্রাইভার, উটপাখি, গাজর, টিউব লাইট, টেবিল ল্যাম্প, ডালিম ও ঢেঁড়শ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এসব প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী এসএম তাজুল ইসলাম ছাড়া সবাই স্ব স্ব প্রতীক ব্যবহার করে নির্ধারিত মাপের পোস্টার তৈরি করে নির্বাচনী এলাকা ছেয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি ছোট আকারের পোস্টার ভোটারের হাতে তুলে দিয়ে তারা ভোট চাইছেন।
বিএনপির বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এসএম তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে পোস্টার না লাগানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার (১৭ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকর্মীদের ছবি দেওয়ার জন্য কিছু ছোট মাপের পোস্টার নিয়ে সামান্য সময় গণসংযোগ করেছেন। ২০ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নামবেন। আর তখন নির্বাচনী এলাকার সর্বত্র তার পোস্টারও দেখা যাবে। তবে দেরি করে মাঠে নামার কারণ সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫
এমবিএইচ/আরএইচ
** ভোট আসলেই কেবল গরীবের কদর