ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন

কাঁটাখালীতে ব্যক্তি নয়, দলীয় প্রতীকই ভরসা!

শরীফ সুমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫
কাঁটাখালীতে ব্যক্তি নয়, দলীয় প্রতীকই ভরসা!

রাজশাহী: হাট-বাজার, চায়ের দোকান- সবখানেই এখন আলোচনার বিষয় আসন্ন পৌর নির্বাচন।

সারাদেশের মতো রাজশাহী পবা উপজেলার কাটাখালী পৌর এলাকাতেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া।



“আওয়ামী লীগ প্রার্থী ব্যস্ত দলীয় প্রভাব আর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে। বিএনপির দুই প্রার্থীই নাশকতা মামলার আসামি। তার উপর আবার একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে। ইমেজ সঙ্কট থাকায় দলীয় ব্যানার ছেড়ে জামায়াত প্রার্থী লড়ছেন স্বতন্ত্র হিসেবে। ”

নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলানিউজকে আবদুল করিম আরও বলেন, ব্যক্তি জনপ্রিয়তায় নয়, কাটাখালীতে প্রার্থীদের ভরসা দলীয় প্রতীক।

তার মতে, পৌর নির্বাচনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মেয়র প্রার্থীদের কারোই তেমন জনপ্রিয়তা নেই। যোগ্য প্রার্থী না পেলে শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রতীকেই ভোট দেবেন ভোটাররা।

তবে জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যেই মূল লড়াই হতে পারে বলে ধারণা করছেন সচেতন ভোটাররা।

ভ্যান চালক সেকেন্দার আলী বাংলানিউজকে বলেন, পৌর এলাকার সাবেক মেয়র জামায়াত নেতা মাজিদুর রহমান প্রায় সারা বছরই বিভিন্ন নাশকতার ঘটনায় পলাতক ছিলেন, অথবা কারাগারে। তাই এলাকার উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। তারপরও কাটাখালী এলাকায় তাদের সমর্থকই বেশি।

সার্বিক অবস্থায় সেকেন্দার আলীও মনে করেন জামায়াত-শিবিরের আধিপত্য বেশি থাকায় বিএনপি প্রার্থীকে টক্কর দিয়ে শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে বের করে আনার প্রাণন্তর চেষ্টা চলবে। তাই ভোট হবে প্রতীকেই।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে জয়ী করতে হলে অনেক কাঠ-খর পোড়াতে হবে, মনে করনে তিনি।

এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচারণা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা। পিছিয়ে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। লিফলেট ও হ্যান্ডবিল বিলিতেই এখন রাত-দিন কাটছে তাদের।

রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভায় এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন পাঁচজন।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে আব্বাস আলী এবং বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পৌর বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা।

নাশকতার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার আসামি এবং পৌরসভার পরপর দুইবারের মেয়র জামায়াতের সাবেক আমির মাজিদুর রহমান প্রতিদ্বন্দিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তার প্রতীক জগ।

বর্তমানে তিনি মাঠে থাকলেও অনেকটা আত্মগোপনে থেকেই কৌশলে চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা।

এছাড়া বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম। তার প্রতীক নারকেল গাছ।

গত নির্বাচনে বিএনপির এই বিদ্রোহী প্রার্থী সামান্য ভোটের ব্যবধানে জামায়াত প্রার্থী মাজিদুর রহমানের কাছে হেরে যান।

এছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম দল কাটাখালী পৌর ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ডলার। তিনি নির্বাচন করছেন দলীয় প্রতীক হাতুড়ি নিয়ে।

রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ১৮৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৯ হাজার ৩৭৮ জন এবং পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৯ হাজার ৮১১ জন। মোট ৯টি কেন্দ্রে এবার ভোট গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। কারও বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫
এসএস/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।