ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

বগুড়া থেকে বেলাল হোসেন

দুই যুবকের জয়-পরাজয়ের লড়াই!

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
দুই যুবকের জয়-পরাজয়ের লড়াই! ছবি: আরিফ জাহান বগুড়া / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাবতলী (বগুড়া) থেকে ফিরে: মেয়র পদে প্রার্থী মোট চারজন। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়ে লড়ছেন দু’জন।

একজন স্বতন্ত্র, আর বাকিজন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী।
 
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র সাইফুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীক ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মোমিনুর হক শিলু নৌকা প্রতীক নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন পুরো নির্বাচনী মাঠ। প্রচারণায় পিছিয়ে নেই জগ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল জলিল পাইকাড় ও আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আব্দুল হাইও।
 
তবে বয়সের দিক দিয়ে শেষ দুই প্রার্থীর তুলনায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী বেশ ছোট। তারা দু’জনই যুবক, জনগণের কাছে যারা ‘ইয়াংম্যান’ হিসেবে পরিচিত। অনেকেই বলছেন, এবারের নির্বাচনে শেষমেষ এই দুই ‘ইয়াংম্যান’র মধ্যেই জয়-পরাজয়ের লড়াই হবে।
 
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বগুড়ার গাবতলী পৌরসভার নির্বাচনী চালচিত্র সম্পর্কে জানতে সরেজমিনে গেলে কথা হয় মেয়র প্রার্থী ও সাধারণ লোকজনের সঙ্গে।
 
বর্তমান মেয়র ও আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তৃতীয় শ্রেণির এ পৌরসভায় তিনি ১০ মাস ধরে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময়ে চার ধাপে সরকারিভাবে ৪৪ লাখ টাকার বরাদ্দ এসেছে। আর রাজস্ব থেকে আয় হয়েছে ৬০ লাখ টাকার মতো। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তিনি ৮২ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করেন। এ ১০ মাসের উন্নয়ন কাজগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ঈদগাহ মাঠ, কবরস্থান, পুকুরঘাট নির্মাণ ও সংস্কার অন্যতম।
 
মেয়র নির্বাচিত হলে জনগণের জন্য কি করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাগরিকসেবা বাড়াতে হলে রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। আর এ জন্য স্থায়ী বাজার, সিএনজি স্ট্যান্ড, অচল হাটবাজার সচল ও পৌরসভার উদ্যোগে মার্কেট নির্মাণ করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা গেলে প্রতিবছর এখান থেকে মোটা অঙ্কের রাজস্ব আদায় হবে। এই মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমি এসব কাজই করবো।  
 
তবে ১০ মাসের এ মেয়র সম্পর্কে ভিন্ন কথা শোনালেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোমিনুর হক শিলু। তিনি বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করেন, বর্তমান মেয়র লুটপাট ছাড়া কিছু বোঝেন না। বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখিয়ে ১৪০ মেট্রিকটন টিআর’র (টেস্ট রিলিফ) খাদ্যশস্য আত্মসাৎ করেছেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাও হয়েছে।
 
তিনি বলেন, পৌরসভায় নাগরিক সেবা বলে কিছুই নেই। শুধু নামেই গাবতলী পৌরসভা। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। যাও আছে তার করুণ দশা। পাম্প থাকলেও পানি সরবরাহের কোনো ব্যবস্থা নেই। পাম্পও অচল। সচল করার কোনো উদ্যোগ নেই।
 
মেয়র নির্বাচিত হলে গাবতলী পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন মোমিনুর হক শিলু। তিনি বলেন, এ পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করতে সে অনুযায়ী নাগরিক সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি একে মডেল পৌরসভায়ও রূপান্তরিত করা হবে।
 
জামিল আহম্মেদ, আব্দুল জব্বার, এমরান হোসেনসহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বাংলানিউজকে জানান, অন্য দুই প্রার্থীর চেয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। তাই দুই ‘ইয়াংম্যান’র মধ্যেই এবার জয়-পরাজয়ের লড়াই হবে।

এদিকে, চেষ্টা করা সত্ত্বেও অপর দুই মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে এবারের ভোট সম্পর্কে তাদের কোনো বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তারাও নির্বাচনী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫
এমবিএইচ/আরএইচ

**মেয়র পদে জয় পেতে বড় ফ্যাক্টর মার্কা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।