ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

দুই প্রার্থীর ভুলের মাশুল দিচ্ছেন ৯ প্রার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২১
দুই প্রার্থীর ভুলের মাশুল দিচ্ছেন ৯ প্রার্থী ...

হবিগঞ্জ: আজমিরীগঞ্জের জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ব্যালট পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় কেন্দ্রটির নির্বাচনী ফল স্থগিত করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেন্দ্রটিতে পুনরায় ভোটগ্রহণের।

ফলে এ কেন্দ্রের আওতায় থাকা সব প্রার্থীকে ভোটযুদ্ধে নামতে হবে দ্বিতীয়বার।
 
শুধু দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সহিংসতায় এমনটি হলো ও এতে ভোট বিড়ম্বনায় পড়লেন সদস্য পদের ৮ জনসহ প্রতিদ্বন্দ্বী এক চেয়ারম্যান প্রার্থীও।
 
বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে এ ঘটনা এলাকায় রীতিমতো আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অসহিষ্ণুতাকে দায়ী করছেন সচেতন মহল। নির্বাচন চলাকালীন দুই প্রার্থী সহানুভুতিশীল হলে এমনটি হতো না বলে মন্তব্য স্থানীয়দের।
 
জানা গেছে, জলসুখা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য ৪ জন ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে আরও ৪ প্রার্থী মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ১১ জন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণও হয়। তবে বিপত্তি বাধে ভোট গ্রহণ শেষের পর।
 
সন্ধ্যায় জলসুখা দুই নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা করা হচ্ছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফয়েজ মিয়া ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রোকসানা আক্তার শিখার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ব্যালট বাক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে কেন্দ্রটিতে কাস্ট হওয়া ৭৭৪ ভোটের সবগুলো ব্যালট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
 
পরে ওই কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করে পুনরায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলে ৩জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ওই কেন্দ্রের আওতায় থাকা সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদের ৪ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদের ৪ জনসহ মোট ১১ প্রার্থীকে পুনরায় নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।
 
অন্যান্য কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী রোকসানা আক্তার ৪ হাজার ১৩৯ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ফয়েজ মিয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ১২৪ ভোট। সেই হিসেবে ১৫ ভোটে এগিয়ে রোকসানা।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন বলেন, দুই প্রার্থী ও তাদের লোকজনের মধ্যে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। নির্বাচনের দিনেও দুপক্ষে উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে। শেষমেশ একটি ঘটনা ঘটেই গেল। দুইজন প্রার্থী যদি আরেকটু সহানুভুতিশীল থাকতেন ও প্রশাসনের লোকজন আরও তৎপর থাকতেন তাহলে এমনটি হতো না। পুনরায় ভোটে নামতে হতো না বাকি ৯ প্রার্থীকে।
 
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, যেহেতু কেন্দ্রের সবগুলো ব্যালট আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, তাই কেন্দ্রটির ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচন কমিশন।
 
হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন কমিশন দ্বিতীয়বার তারিখ নির্ধারণ করলে সেখানে পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হবে।

** গণনার সময় পোড়ানো হলো সব ব্যালট
 
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।