শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে ২০২১ সালের ২ অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরি থেকে আটক করা হয়েছিল। এর পরদিন তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)।
সেই ঘটনায় এনসিবির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবার এনসিবির শৃঙ্খলা বিভাগের তদন্তে উঠে এসেছে, আরিয়ানের মামলা তদন্তকারী সাত থেকে আট কর্মকর্তার আচরণ ছিল সন্দেহজনক।
ইতোমধ্যেই আরিয়ানের মাদক মামলা নিয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ জমা দিয়েছে এনসিবির শৃঙ্খলা বিভাগ। এনসিবির সদর দপ্তর নয়াদিল্লিতে পাঠানো সেই প্রতিবেদনে আরিয়ানের মামলা তদন্তের বেশ কিছু গরমিল উঠে এসেছে।
ওই ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই আরিয়ানকে ‘লক্ষ্যবস্তু’ করা হয়েছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সেটা কেন করা হয়, তা জানা যায়নি।
শৃঙ্খলা বিভাগের প্রতিবেদনে সন্দেহজনক কর্মকর্তাদের শাস্তির সুপারিশ করা করেছে। যার মধ্যে আছেন এনসিবি মুম্বাইয়ের আঞ্চলিক পরিচালকও। প্রতিবেদনটি তৈরির জন্য ৬৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে এনসিবি।
এদিকে, চলতি বছরের মে মাসে তদন্তকাজে গাফিলতির জন্য এনসিবি কর্মকর্তা সামির ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে মামলায় আরিয়ানসহ অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
এনএটি