হতাশা ও ক্ষোভ দুটোই ভর করেছিল রোমেলু লুকাকুর। ডাগআউটে কয়েকবার ঘুষি মেরেও শান্ত হতে পারছিলেন না।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে বেলজিয়াম। সমাপ্তি ঘটেছে তাদের সোনালি প্রজন্মের। কী ছিল না দলটির। তারকার কমতি নেই। এডেন হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রুইনা, থিবো কোর্তোয়া, রোমেলু লুকাকু প্রত্যেকেই যার যার ক্লাবে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু সোনালি প্রজন্ম নিয়ে সোনালি ট্রফিটাই ছুঁয়ে দেখা হলো না বেলজিয়াম। ২০১৪ বিশ্বকাপ দিয়ে উত্থান হয় প্রজন্মটির। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত সেই আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে যায় তারা।
রাশিয়া বিশ্বকাপ আসতে আসতে তাদের নিয়ে প্রত্যাশার পারদটা আকাশচুম্বী। হট ফেভারিট হিসেবেই খেলতে নামে। কিন্তু থেমে যায় সেমিফাইনালেই। এবারের আসরের আগে অবশ্য খুব একটা আলোচনায় ছিল না। কিন্তু তাই বলে গ্রুপ পর্বেই ছিটকে পড়বে এমনটা হয়তো কেউ ভাবেননি। ডি ব্রুইনা অবশ্য আগেই বলেছিলেন, বিশ্বকাপ জেতার জন্য তারা বেশ ‘বুড়ো’ হয়ে গেছেন। তার সেই কথা ড্রেসিংরুমের পরিবেশকে যে নষ্ট করে দিয়েছে ,সেটা অনেকটাই পরিষ্কার।
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর বেলজিয়ামের সঙ্গে ইতি টেনেছেন কোচ রবার্তো মার্তিনেসও। বিদায় নিলেও সোনালি প্রজন্মের শেষ দেখছেন না তিনি। মার্তিনেস বলেন, ‘আমাদু ওনানা ও জেরেমি ডোকুর মতো খেলোয়াড় থাকতে আমি সেই সম্ভাবনা দেখি না। নতুন প্রজন্মকে তুলে আনতে কাজ করে যাচ্ছে সোনালি প্রজন্ম। মাঠে কী হয়েছে, সেটা ভাবার প্রয়োজন নেই। তারা বিভিন্ন দিক থেকে লিগ্যাসি রাখতে পারে। এখন খেলার মান বাড়ানোটা চালু রাখতে হবে এবং তরুণ খেলোয়াড়দের এই পথেই হাটছে হবে। ’
মার্তিনেস আরও যোগ করেন, ‘আমরা শেষ ষোলোয় যেতে চেয়েছিলাম। তবে আমি নিশ্চিত অন্যান্য দলেরও একই চেয়েছিল। এটাই তো টুর্নামেন্টের বিশেষত্ব। গত বিশ্বকাপে আমরা গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ জিতেছিলাম, চেয়েছিলাম সব পথ অতিক্রম করতে। ’
বাদ পড়ার ভয়ই বেলজিয়ামকে কাবু করেছে বলে জানান মার্তিনেস, ‘প্রথম কিছু ম্যাচে আমরা ভীত ছিলাম এবং এমন দল আমরা নেই। বাইরে থেকে ফিসফিস হচ্ছিল এবং আমরা তাতে দায়িত্ব অনুভব করেছি। হারতে পারি এমনটা ভেবেই খেলেছিলাম আমরা এবং সেটারই মূল্য দিতে হলে। আমার মনে হয়েছিল, শেষ ষোলোয় উঠলে আসল বেলজিয়ামের দেখা পেতাম আমরা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২২
এএইচএস