এভাবে হয়তো নিজ দেশ ঘানায় ফিরতে চাননি ক্রিস্তিয়ান আতসু। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্প তছনছ করে দেয় তার জীবন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায়। ভয়াবহ এই দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। তাদের মধ্যেই অন্যতম আতসু। ৩১ বছর বয়সী এই ফুটবলার আগের দিনও খেলেছেন তুর্কিশ ক্লাব হাতায়াস্পোরের হয়ে। করেছেন জয়সূচক গোলও। কিন্তু ভূমিকম্পে হাতায়াস্পোর ক্লাবটি রীতিমত ধ্বংসস্তূপে রূপ নেওয়ার। তখন থেকেই নিখোঁজ থাকেন আতসু। ১১ দিন খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে পাওয়া যায় তাকে। কিন্তু জীবিত নয়, মৃত।
আতসুর মৃত্যুতে ফুটবল বিশ্বে নেমে আসে শোকের ছায়া। সাবেক এই চেলসি ফুটবলারের লাশ গতকাল সন্ধ্যা ঘানায় নেওয়া হয়। কোতোকা বিমানবন্দরে ঘানার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদু বাউমিয়া বলেন, ‘আমরা আশার বিপরীতে আশা নিয়ে ছিলাম। প্রতিটি দিনই প্রার্থনার পর প্রার্থনায় কেটেছে আমাদের। কিন্তু হায়! যখন তাকে পাওয়া গেল, সে আর জীবিত ছিল না। এটা একটি বেদনাদায়ক ক্ষতি। খুবই বেদনাদায়ক। ’
বিমানবন্দর থেকে আতসুর লাশ নেওয়া হয়েছে মিলিটারি হাসপাতালের মর্গে। মাহমুদু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এই ফুটবলারকে উপযুক্ত সম্মানের মাধ্যমে সমাহিত করা হবে। জাতীয় দলে ঘানার হয়ে ৬৯ ম্যাচে ৫ গোল করেছেন আতসু। তুর্কিশ লিগে পাড়ি জমানোর আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও লা লিগায় খেলেছেন এই উইঙ্গার। ২০১৩ সালে তার সঙ্গে চুক্তি করে চেলসি। কিন্তু ব্লুজদের জার্সি গায়ে একটি ম্যাচও খেলা হয়নি। চার মৌসুমের পুরোটাই কাটিয়েছেন লোনে। এক মৌসুম লোনে খেলার পর তাকে পাকাপাকিভাবে দলে ভেড়ায় নিউক্যাসেল ইউনাইটেড। ইংলিশ ক্লাবটিতে পাঁচ মৌসুম কাটিয়ে সৌদি আরবের আল রাইদ ঘুরে গত সেপ্টেম্বরে তুরস্কের হাতায়াস্পোরে যোগ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
এএইচএস