বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। পানামার বিপক্ষে আজকের প্রীতি ম্যাচের পর ঘরের মাঠে নিজেদের দর্শকদের সামনে কাতারে জেতা শিরোপা প্রদর্শন করেছেন লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
২-০ গোলে ম্যাচ জেতার পর পরিবার-পরিজনদের নিয়ে বুয়েনস এইরেসের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামের ভেতরে শিরোপা হাতে ঘুরে বেড়িয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। তবে আবেগের শুরুটা আরও আগে। ম্যাচের শুরুতে সারিবদ্ধভাবে যখন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় হলো, মেসি-মার্তিনেসদের চোখেমুখে তখন আবেগ খেলা করছে। গান শুরুর পর তো মেসি ও বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে কাঁদতেও দেখা গেল।
ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনা দলের সবার হাতে বিশ্বকাপ ট্রফির রেপ্লিকা দেখা গেল। এমনকি আবেগের বশবর্তী হয়ে বিশ্বকাপের সেই বিতর্কিত উদযাপনের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন মার্তিনেস। 'অশ্লীল' তকমা পাওয়া সেই উদযাপনে এবার তার সঙ্গী হলেন আর্জেন্টিনা দলে তার চারজন সতীর্থও। তবে মেসির অবস্থা ছিল একেবারেই অন্যরকম। ফুর্তির চেয়ে আবেগকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছিলেন যেন। তিন সন্তান আর স্ত্রী রুকোজ্জোকে নিয়ে স্বপ্নের রাতটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাইলেন যেন।
তবে মেসির জন্য রাতটা আরও একটু বেশি স্মরণীয়। কারণ পানামার বিপক্ষে দারুণ একটি গোলও করেছেন তিনি। পুরো সময়টা সমর্থকদের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন তিনি। সকালে ঘুম থেকে ওঠেই তাই তাদের ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না তিনি। সেই সঙ্গে জানালেন, এমন কিছুর স্বপ্ন বহু বছর ধরেই দেখছিলেন। তবে অনুভূতিটা ব্যাখ্যা করতে পারছেন না তিনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মেসি। যেখানে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে 'বড়' করে একটি ধন্যবাদ দিয়েছেন মেসি।
মেসি লিখেছেন, 'বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজের দেশে ফিরতে কেমন লাগবে, তা বহুবার ভেবেছি। কিন্তু এখন আমার অনুভূতি এবং এত ভালোবাসার জন্য আমি কতটা কৃতজ্ঞ তা ব্যাখ্যা করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা খুবই বিশেষ দিন। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি- আর্জেন্টাইনরা যেভাবে উপভোগ এবং উদযাপন করছেন তা দেখে আমি অনেক খুশি। ধন্যবাদ!!!'
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
এমএইচএম