জিতলেই পয়েন্ট টেবিলে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের। তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট টেবিলে চার নম্বর স্থানেই থাকলো তারা।
১৬ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে শেখ জামাল। অন্যদিকে জামালের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকলো শেখ রাসেল।
আজ শেখ রাসেলের হয়ে মাঠের বাইরে ছিলেন দলের অধিনায়ক জামাল ভূইয়া, এমফন উদো এবং চার্লস দিদিয়ের। কার্ডের নিষেধাজ্ঞার কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন জামাল এবং চার্লস। ইনজুরির কারণে দলে ছিলেন না এমফন।
দলের সেরা তিন তারকা না থাকায় মাঠের পারফরম্যান্সে এই প্রভাব পড়েছে। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে দারুন এক গোলের সুযোগ তৈরি করে রাসেল। তবে তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ফরোয়ার্ড সুজন বিশ্বাস। কেনেথ ইকেচুকুর কাটব্যাকে ছয় গজ বক্সের ভেতরে পা ছোঁয়াতে পারেননি।
পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আক্রমণে যায় জামাল। কৌশিক বড়ুয়ার পাস বক্সের ভেতর সোলাইমান সিল্লাহ পাওয়ার আগেই তা ক্লিয়ার করে দেন আবিদ আহমেদ। ২৫ মিনিটে আরেকটি সুযোগ তৈরি করে শেখ জামাল। ওতাবেকের লম্বা ক্রস ধরে বক্সে ঢুকে পড়া স্টুয়ার্ট কর্নেলিয়াসের কোনাকুনি গতির শট ঝাঁপিয়ে ফেরান আশরাফুল ইসলাম রানা।
তিন মিনিট পরেই প্রতি আক্রমণে ওঠে শেখ রাসেল। ইব্রাহিমের বাড়ানো পাস ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন নিহাত জামান উচ্ছ্বাস, কিন্তু তার শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে কোনো দলই তেমন পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৭৮ মিনিটে বক্সের কোণ থেকে নেওয়া কর্নেলিয়াসের গতির শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন রাসেলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক। শেষ দিকে নিহাত জামান আরও একটি সু্যোগ নষ্ট করলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
এআর/আরইউ