মাদ্রিদের দুই ক্লাব পয়েন্ট খোয়ালে খেলা শুরুর আগেই উৎসব করবে বার্সেলোনা; সমীকরণটা ছিল এরকমই। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ পা না হড়কালেও ঠিকই পচা শামুকে পা কেঁটেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
সবশেষ ২০১৮-১৯ মৌসুমে লা লিগায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বার্সা। এরপরের সময়টাকে বার্সার ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন সময় বললেও ভুল হবে না হয়তো। একের পর এক সিনিয়ররা চলে যাওয়ায় পালা বদলের মধ্য দিয়ে যেতে থাকা ক্লাবটি। বাধ্য হয়ে লিওনেল মেসির ক্লাব ছাড়ার ঘটনা রীতিমত হতভম্ব করে তোলে সবাইকে। করোনাভাইরাস বেশ বড়সড় এক ধাক্কা দেয় ক্লাবটির আর্থিক পরিস্থিতিতে। একটা সময়ে মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরের ইস্যু নিয়েই বেশি আলোচনায় থেকেছে বার্সা।
গত মৌসুমের মাঝপথে জাভি হার্নান্দেজ কোচের দায়িত্ব নিলে ধীরে ধীরে পুরোনো ছন্দে ফিরতে শুরু করে ক্লাবটি। খেলোয়াড়ী জীবনের প্রায় পুরো ক্যারিয়ারটাই কাতালানদের হয়ে কাটিয়েছেন জাভি। জিতেছেন অনেক শিরোপা। তবে কোচ হিসেবে জেতা তার প্রথম লিগ শিরোপাটি বাকিগুলোর চেয়ে অন্যান্য হয়ে থাকবে। তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ বলা যাবে। তবে আপাতত সময়টা আনন্দ করার।
বার্সার প্রতিটি গোলেরই উদযাপন থেকে বের হচ্ছিল শিরোপা জয়ের সুবাস। কর্নেলা এল প্রাতে ১১ মিনিটে ক্লাবটিকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেভানডোভস্কি। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বুন্দেসলিগা জয়ের অভ্যাস গড়ে ফেলা এই পোলিশ ফরোয়ার্ড বার্সায় এসেও সফল। মেসি যুগের পর প্রথম লিগ শিরোপা জয়ের পেছনের অন্যতম নায়ক তিনি। কোনো অঘটন না ঘটলে তিনিই জিততে যাচ্ছেন পিচিচি (সর্বোচ্চ গোলদাতা) ট্রফি।
২০ মিনিটে বার্সার হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলেহান্দ্রো বালদে। বার্সার জয় নিশ্চিত হয়ে যায় তখনই। ৪০ মিনিটে রাফিনিয়ার পাস থেকে বাঁ পায়ের দারুণ শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন লেভানডোভস্কি। লিগে এটি তার ২১তম গোল। বিরতির পরও এস্পানিওলের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখে তারা। ৫৩ মিনিটে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের পাস থেকে দূরের পোস্টে থাকা জুলেস কুন্দে খুঁজে নিল জালের ঠিকানা। পরে এস্পানিওল দুই গোল শোধ দিলেও বার্সার উৎসব পণ্ড করতে পারেনি। লিগে এটি কাতালান ক্লাবটির ২৭তম শিরোপা। চার ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত হয়েছে তা। ৩৪ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৮৫ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রিয়াল।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
এএইচএস