১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে আবাহনী-মোহামেডান। আজ (৩০ মে) কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে ম্যাচটি।
প্রথমার্ধের পুরোটা সময়ই মোহামেডানের ওপর চড়াও হয়ে খেলেছে আবাহনী। একের পর এক আক্রমণে মোহামেডানের রক্ষণকে ব্যস্ত রাখলো পুরোটা সময়ই। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় মিনিটে আরিফ হোসেনের লম্বা থ্রো-ইন হেডে ক্লিয়ার করতে চেয়েছিল মোহামেডান। ফিরতি বলে রাফায়েল আগুস্তোর হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
সপ্তম মিনিটে ডি-বক্সের ডান প্রান্ত ধরে এগিয়ে এসে শট করেছিলেন এমেকা। তবে তার বাঁকানো শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। তবে গোলের জন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি আবাহনীকে। ১৫তম মিনিটে এমেকার ডিফেন্স চেরা ক্রস পেয়ে যান ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তার নিচু শ্ট গোলরক্ষক সুজনের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে আবাহনীর সমর্থকরা গ্যালারিতে নীল-হলুদ ধোঁয়ার মশাল জ্বালিয়ে উদযাপন করেন।
২৯ মিনিটে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে কলিনদ্রেসের ক্রস বক্সের ভেতর পেয়ে যান এমেকা। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বল দেন বাঁ প্রান্তে থাকা ফয়সালের কাছে। তার শট রুখে দেন মোহামেডানের গোলরক্ষক। ৩৬ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় আবাহনী। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে কলিনদ্রেস সরাসরি গোলে শট নেন। তবে গোলরক্ষকের হাতে তুলে দেন তিনি।
৪৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কলিনদ্রেস। মাঝ মাঠ থেকে লম্বা করে বল বাড়ান হৃদয়। বক্সের ভেতর বল পেয়ে যান কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড। দ্রুতগতির শটে দূরের পোস্টে বল জালে জড়িয়ে দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন তিনি। যোগ করা সময়ে (৪৫+২) মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে দলকে আরও এগিয়ে দিতে পরতেন কলিনদ্রেস। কিন্তু তার শট ক্রস বারে লাগে।
অন্যদিকে প্রথমার্ধে বেশ কিছু আক্রমণের চেষ্টা করলেও তেমন উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি মোহামেডান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
এআর/এমএইচএম