ফুটবল ছেড়েছেন ৮ বছর আগে। কিন্তু মাঠ থেকে বিদায় নেওয়া হয়নি।
তবে নিজের বিদায়ী ম্যাচ মেসি রাঙিয়ে দিয়ে গেছেন এটাই অন্যতম বড় পাওয়া রিকেলমের জন্য। ১৯৯৭ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার হয়ে ১১৬ টি ম্যাচ খেলেছেন রিকেলমে। ১০ নম্বর জার্সি গায়ে সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার ছিলেন তিনি। ক্লাব ক্যারিয়ারে লম্বা সময় কাটিয়েছেন বোকা জুনিয়র্সে। এছাড়াও খেলেছেন বার্সেলোনা, ভিয়ারিয়াল আর্জেন্টিনোস জুনিয়রে।
বিদায়ী ম্যাচে প্রয়াত কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে বেশ ভালোভাবেই মনে পড়ছিল রিকেলমের, ‘ছোট থেকে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখতা আমি। বেতো মারসিসো, ম্যারাডনা, এল মান্তেসার মতো ফুটবলার হতে চাইতাম আমি। এবং পরে তাদেরকেই পেলা সতীর্থ হিসেবে। ফুটবল আমাকে জীবনের সবকিছুই দিয়েছে। মায়ের জন্য বাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখেছিলাম। এর চেয়ে বেশি কিছু চাইনি। অনেক কিছু ঘটেছে এবং আমি ভাগ্যবান তাতে। ’
‘ছোটবেলায় দেখা সর্বকালের সেরা ফুটবলারের সঙ্গে খেলেছি। আর তার নাম ম্যারাডোনা। সময় গড়িয়েছে, আমিও বয়স্ক হয়েছি এবং আমি ভাগ্যবান এমন একজনের সঙ্গে খেলেছি যে কি না অবিশ্বাস্যরকমের ভালো। আমি জানি না, সে ম্যারাডোনার চেয়ে বড় ফুটবলার কি না। তবে তারা দুজন আমার দেখা সেরা ফুটবলার। ’
ক্লাব ফুটবলের ব্যস্ততা নেই, তাই ছুটিতে থাকারই কথা ছিল মেসির। কিন্তু রিকেলমের কারণে ছুটি পিছিয়েছেন তিনি। রিকেলমে বলেন, ‘তোমাকে এখানে দেখে ভালো লাগছে। আমি জানি, তোমার ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল। তোমার পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইছি যে, তোমাকে আরও কয়েকটা দিন থাকতে হলো। তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ আমি, কারণ তুমি সবসময় আমাকে হ্যাঁ বলেছ। তোমাকে এখানে পাওয়াটা অবিস্মরণীয়। আশা করি ভালো সময় কেটেছে তোমার। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
এএইচএস