একসময় নিজেও খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে, ছিলেন বিশ্বকাপেও। কিন্তু আরাধ্য ট্রফিটি জিততে পারেননি।
কাতার বিশ্বকাপে দলের সহকারী কোচ ছিলেন তিনি। সৌদি আরবের কাছে হারের হতাশা থেকে বিশ্বকাপ জয় অবধি পুরোটাই ঘটেছে তার চোখের সামনে। ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে অবিশ্বাস্য এক ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ আসলে কেমন?
রেডিও কন্টিনেন্টালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আয়লা বলেছেন, ‘প্রতিদিন সকালে আমি ক্যাবেনেটের দিকে তাকাই, ওখানে বিশ্বকাপের একটা রেফ্লিকা ট্রফি রাখা আছে। ওখানে তাকিয়ে আমি নিশ্চিত হই যে সত্যিই আমরা বিশ্বকাপটা জিতেছি। ’
‘যখন আপনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবেন, এই অনুভূতি ব্যাখ্যা করার মতো যথেষ্ট শব্দ আপনার কাছে থাকবে না। আমি কাতারের ওই বিশ্বকাপ ফাইনাল পুনরায় দেখার সাহস করতে পারিনি। প্রথমার্ধটা দেখেছি আর কিছু নির্দিষ্ট জিনিস। ’
বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্সের। ১২০ মিনিটের খেলায় ছিল ৩-৩ সমতায়। এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে দুর্দান্ত সেভ দিয়ে নায়ক বনে যান এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। আর্জেন্টিনার জয় নিশ্চিত হয় গনসালো মন্তিয়েলের নেওয়া চতুর্থ শটে। ওই সময়ের কথা মনে করেছেন আয়লা।
তিনি বলেন, ‘মন্তিয়েল যখনই গোলটা করলো, আমার পা নিস্তেজ হয়ে গিয়েছিল। আর আমি একদম অনুভূতিশূন্য হয়ে পড়েছিলাম। এটা ছিল অসাধারণ একটা ব্যাপার। ডক্টর মার্তিনেজ এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো, এরপর আস্তে আস্তে আরও অনেকে। আমি ঠিক হলাম। এটা ছিল সুন্দর। একদমই আলাদা। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৯৪৩ ঘণ্টা, ১ জুলাই, ২০২৩
এমএইচবি