প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে এসেই চমক দেখায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রূপকথার গল্প লিখে জায়গা করে নেয় শেষ ষোলোয়।
ডাচদের চেয়ে র্যাংকিংয়ে ৪৫ ধাপ পিছিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, পিছিয়ে শক্তিমত্তায়ও। কিন্তু অভাব ছিল না লড়াকু মানসিকতায়। সিডনি ফুটবল স্টেডিয়ামে বেশ কয়েকবার হুমকি হয়ে দাঁড়ায় নেদারল্যান্ডসের জন্য।
যদিও ম্যাচে এগিয়ে যেতে মাত্র ৯ মিনিট সময় নেয় ডাচরা। হেডের মাধ্যমে আসরে নিজের চতুর্থ গোল করেন জিল রুর্ড। কিন্তু এরপর ডাচদের বুকে রীতিমত কাঁপন ধরায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ৩০ শতাংশ বল দখলে রেখেও গোলমুখে নেদারল্যান্ডসের চেয়ে একটি বেশি ৭ টি শট নেয় তারা। দলটির অধিনায়ক থেম্বি কাগাতলানা ত্রাস সৃষ্টি করেন ডি বক্সে। কিন্তু টপকাতে পারেননি ডাচ গোলরক্ষক ডফনে ফন ডমসিলারের বাধা। তার একের পর এক অসাধারণ সেভ বড় বিপদ থেকে বাঁচিয়ে দেয় নেদারল্যান্ডসকে।
বিরতির পর নিজেদের ভুলেই আবারও পিছিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। গোলপোস্ট ছেড়ে অনেকটাই বেরিয়ে আসেন কেলিন সোয়ার্ট। ডি বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে বেরেনস্টেইনের নেওয়া শটটি তার নাগালেই ছিল। কিন্তু তালুবন্দী করতে পারেননি। বল এই গোলরক্ষকের হাত থেকে পিছলে গিয়ে সোজা জালে আশ্রয় নেয়।
দুই গোল হজম করার পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই বিশ্বকাপ যাত্রাটা আরও রঙিন করা হলো না। এদিকে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস মুখোমুখি হবে স্পেনের।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২৩
এএইচএস