ম্যাচের লম্বা একটা সময় পিছিয়েই থাকলো ইন্টার মায়ামি। ৬৮তম ম্যাচে এসে ব্যবধান কমানোর পর যোগ করা সময়ে এসে পেলো সমতা।
বৃহস্পতিবার ভোরে সিনসিনাটির বিপক্ষে ৩-৩ সমতা নিয়ে ম্যাচ শেষ করে ইন্টার মায়ামি। পরে টাইব্রেকারে ৪-৫ ব্যবধানে জয় পায় তারা। এ জয়ের পর ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে উঠে গেছে মায়ামি। কয়েকদিন আগেই লিগ কাপ জিতে ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা পায় তারা। পিএসজি থেকে মেসি যোগ দেওয়ার পর এখন অবধি ৮ ম্যাচের কোনোটিতেই হারেনি দলটি।
ম্যাচের শুরু থেকে দাপট ছিল সিনসিনাটির। লুসিয়ানো অ্যাকোস্তার ১৮ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন, ওই লিড নিয়েই বিরতিতে যায় তারা। এরপর ৫৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে করা শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রান্ডন ভাসকুয়েজ।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়া মায়ামির ফেরার শুরুটা হয় ৬৮তম মিনিটে। বক্সের বাঁ প্রান্তে মেসিকে ফাউল করার পর ফ্রি কিক পেয়েছিল তারা। শটও নিতে যান আর্জেন্টাইন জাদুকর। তার বাড়ানো বল লাফিয়ে হেডে জালে জড়ান কাম্পানার। তখনও খুব বেশি উচ্ছ্বাস ছিল না মায়ামির।
শুরুর ৯০ মিনিটেও আর গোলের দেখা পায়নি তারা। তবে ভাগ্যের চাকা ঘুরে যোগ করা সময়ে। শেষ বাঁশি বাজার মিনিট দুয়েক আগে আবারও দলের ত্রাতা হয়ে আসেন মেসি। বক্সের অনেক বাইরে থেকে তার অসাধারণ পাসে বাতাসে ভাসা বল হেডে ইকুয়েডরের কাম্পানা গোল করেন। তাকে আসলে হেডটাই ঠিকঠাক করতে হতো, বাকি কাজ করে রেখেছিলেন মেসি।
ম্যাচে ২-২ সমতা থাকায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ। ৯৩ মিনিটে বেঞ্জামিন ক্রেমাশির পাস থেকে গোল করেন জোসেফ মার্তিনেস। এগিয়ে গিয়েও ফের সমতায় ফিরতে হয় মায়ামিকে। ১১৪ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে বল ‘ক্লিয়ার’ করতে পারেননি মায়ামির ডিফেন্ডার। সিনসিনাটির জাপানি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইয়ুয়া কুবো গোল করে বসেন এবার। ৩-৩ সমতা আসে ম্যাচে।
টাইব্রেকারে মায়ামির গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার সিনসিনাটির নিক হ্যাগল্যান্ডের শট রুখে দেন। বেঞ্জামিন ক্রেমাশি এসে গোল করে ৫–৪ ব্যবধানে মায়ামির জয় নিশ্চিত করেন। দলের হয়ে প্রথম শটটি নিয়েছিলেন মেসি, গোল করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় : ০৮৩০ ঘণ্টা, ২৪ আগস্ট, ২০২৩
এমএইচবি