নির্ধারিত সময়ে আলাদা করা গেলো না দুই দলকে। সুইজারল্যান্ডই গোল করেছিল আগে, কিন্তু সেটিতে শোধ দিতে কেবল পাঁচ মিনিট লাগে ইংল্যান্ডের।
শনিবার রাতে ডাসেলডোর্ফে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত আধঘণ্টায় ১-১ গোলে সমতায় থাকে ম্যাচ। পরে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই গোছানো আক্রমণ করতে পারেনি। এমনকি গোলমুখে ছিল না কোনো শটও। সুইজারল্যান্ডের অর্ধে প্রায়ই ভয় ধরাচ্ছিলেন বুকায়ো শাকা। বিরতির ঠিক আগে তার বাড়িয়ে দেওয়া বলে মাইনোর নেওয়া শট সুইজ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বাইরে যায়।
বিরতি থেকে ফেরার পর ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে থাকে ইংল্যান্ডে। আক্রমণের ধার বাড়ায় সুইজারল্যান্ডও। প্রথম গোলটিও পেয়ে যায় তারা। ৭৫মিনিটে ভার্গাস বল পান বক্সের কিছুটা বাইরে। তার বাড়িয়ে দেওয়া বলে দৌড়ে এসে শুয়ে পড়ে বলের গতিপথ গোলপোস্টের দিকে করে দেন ব্রেল ইমবোলা। এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড।
পিছিয়ে পড়ে একসঙ্গে তিনটি বদল করেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউদগেট। অবশ্য গোল এনে দেন আগে থেকেই থাকা শাকা। গোল হজমের পাঁচ মিনিট পর ডেকলান রাইসের কাছ থেকে বল পান শাকা। প্রতিপক্ষের দুই ফুটবলারকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকেই শট নেন তিনি। বল পোস্টে লেগে ভেতরে ঢুকে। সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড।
এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর কোনো গোল হয়নি। অতিরিক্ত সময়ে বেশ কিছু ভালো আক্রমণ করে সুইজরা। এর মধ্যে কর্নার থেকে সরাসরি বল জালে জড়িয়ে দিচ্ছিলেন শাকিরি, কিন্তু বল লাগে পোস্টে। আরেকটি ভালো সেভ দেন ইংল্যান্ড গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। শেষ অবধি গোল পায়নি কোনো দল।
ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম শট নিতে আসেন কোল পালমার। তিনি বল জালে জড়িয়ে দেন। কিন্তু পরের শটে মিস করেন সুইজারল্যান্ডের ম্যানুয়েল আকেনজি। পরে ইংলিশদের হয়ে জুড বেলিংহাম, সাকা, ইভান টনি ও ট্রেন্ড অ্যালেক্সেন্ডার আরনোল্ড গোল করলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশ সময় : ১২৪৫ ঘণ্টা, ৭ জুলাই, ২০২৪
এমএইচবি