লামিন ইয়ামাল তখন কেবল ৬ মাসের শিশু। তাই কোনো কিছু বোঝার তো প্রশ্নই আসে না।
যেখানে দেখা যায় ইয়ামালকে গোসল করাচ্ছেন মেসি, পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন ইয়ামালের মা শেইলা ইবানা। সেই ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেননা লিওনেল মেসি যেখানে নিজেকে সর্বজয়ী ফুটবলারের কাতারে পরিণত করেছেন, সেখানে ইয়ামাল দিচ্ছেন নিজের আগমনী বার্তা। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই বড় মঞ্চ কাঁপাচ্ছেন তিনি, রাখছেন অবিশ্বাস্য ছাপ। কেউ কেউ তো আবার পরবর্তী মেসি হিসেবেই ধরে নিচ্ছেন তাকে।
মেসির সঙ্গে ছবিটি নিয়ে ইয়ামাল বলেন, ‘অবশ্যই, ছবিটি যখন তোলা হয়েছিল, সেই বয়সে আমার বোঝার জ্ঞান হয়নি। আমার বাবা সেভ করে রেখেছিলেন সেই ছবি এবং তা কখনো প্রকাশ্যে আসেনি, কারণ আমরা চাইনি মেসির সঙ্গে তুলনা করা হোক। খেলাটির সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা হলে কেউই হয়তো বিরক্ত হবে না। কিন্তু বিষয়টা নিজের পক্ষে নাও যেতে পারে কারণ আমি কখনোই তার মতো হতে পারব না। ’
লা মাসিয়া একাডেমিতে বেড়ে ওঠা ইয়ামালের পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় গত বছরই। গত মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে ৫০টিরও বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। অসাধারণ পারফরম্যান্সে জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। শুধু তা-ই নয়, ইউরোর মতো বড় মঞ্চে তাকে নিয়মিত শুরুর একাদশে রাখছেন স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক গোলে ইতিহাস লিখে ফেলেন ইয়ামাল। ইউরোর ইতিহাসে তার চেয়ে কম বয়সে গোলের দেখা পায়নি আর কোনো ফুটবলার।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৪
এএইচএস