বয়স মাত্র ১৭ বছর ২ দিন। এর মধ্যেই ইউরো চ্যাম্পিয়নের তকমা লেগে গেছে তার নামের পাশে।
লামিন ইয়ামাল যতই বাড়ছেন, ততই যেন ছাড়িয়ে যাচ্ছেন নিজেকে। গড়ছেন একের পর এক রেকর্ড। তার চেয়ে কম বয়সে ফুটবলের মেজর টুর্নামেন্ট জিততে পারেননি আর কোনো ফুটবল। ৬৬ বছর ধরে টিকে থাকা সেই রেকর্ডটি ছিল প্রয়াত ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের। ১৯৫৮ বিশ্বকাপ জেতার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর ২৪৯ দিন।
সবমিলিয়ে এক গোল ও সর্বোচ্চ চার অ্যাসিস্ট নিয়ে ইউরো শেষ করেন ইয়ামাল। তাই অনুমিতভাবেই তার হাতে ওঠে সেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার। এবারের আসরে তার চেয়ে বেশি গোলে অবদান রাখতে পারেননি আর কোনো ফুটবলার।
ইউরোর সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার, সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা, সর্বকনিষ্ঠ গোল-সহায়কের রেকর্ডটিও দখলে নিয়ে ফেলেছেন ইয়ামাল। তবে এর মধ্যে একটি রেকর্ড খুব বিরলই বলা যায়। প্রথম ফুটবলার হিসেবে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে সরাসরি গোলে অবদান রেখেছেন তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানির বিপক্ষে দানি অলমোকে দিয়ে গোল করান এই ফরোয়ার্ড। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো নিজেই খুঁজে নেন জালের ঠিকানা। এরপর ফাইনালে গোল করান নিকো উইলিয়ামসকে দিয়ে।
ইয়ামালের পারফরম্যান্স নিয়ে সাবেক ইংলিশ ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড বলেন, 'টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সে স্টার ছিল, এখন সে সুপারস্টার। '
বার্সেলোনা খেলা ইয়ামালের প্রতিভা নজরে পড়ে সাবেক কোচ ও ফুটবলার জাভি হার্নান্দেসের। তাই বয়সের পরোয়া না করে ইয়ামালকে মূল দলে খেলানো শুরু করেন তিনি। তার সঙ্গে আলাপ হয়েছে সাবেক স্প্যানিশ ফুটবলার মাতার।
তিনি বলেন, 'গত রাতে জাভির সঙ্গে নৈশভোজ অংশ নিয়েছিলাম আমি এবং সে আমাকে বলল, এই মানের খেলোয়াড় সে দেখেনি। আমি মেসির সঙ্গে কাউকে তুলনা করতে পছন্দ করি না, তবে আমি মনে করি আকাশই ছেলেটির সীমানা। '
বাংলাদেশ সময় ০৬৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
এএইচএস