কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুথানে রূপ নেওয়া আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন মীর মুগ্ধ এবং আবু সাঈদ। তাদের এই আত্মত্যাগ স্মরণ করছে দেশের মানুষ।
আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথমে গোল করে দলকে লিড এনে দেন মিরাজুল। গোলের পর মুগ্ধ-সাঈদকে স্মরণ করে অভিনব উদযাপন করেন তিনি।
আন্দোলনের সময় এই দুজন ছাড়াও আরও অগনিত মানুষ শহীদ হয়েছেন। তবে মুগ্ধ-সাঈদের শহীদ হওয়া ছিল টার্নিং পয়েন্ট। এরপর রাজপথে নেমে আসে ছাত্র-জনতা। এক দফা দাবি আদায়ের জন্য প্রাণ দেন শত শত মানুষ। পতন হয় সরকারের। বিজয় হয় ছাত্র-জনতার। যে কারণে সাঈদ ও মুগ্ধকে দেশের সর্বস্তরেই বিশেষভাবে স্মরণ করা হচ্ছে। আজ খেলার মাঠেও তাদের স্বরণ করা হলো।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন মিরাজ। গোলের পর উদযাপনের সময় টেন্ট থেকে একটি টি-শার্ট দেওয়া হয় তাকে। জার্সির ওপর সেটি পরে উদযাপন করেন মিরাজ। যেখানে লেখা ছিল ‘মুগ্ধ এবং আবু সাঈদ এর মরণে মনে রেখ যুদ্ধ করে দেশ পেয়েছি?’
অবশ্য এমন অভিনব উদযাপনের পর এখন শাস্তির শঙ্কা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলা বহির্ভূত কিছু প্রদর্শন নিষিদ্ধ বিশেষত রাজনৈতিক বা অন্য কিছু। মিরাজের এমন উদযাপন শাস্তির আওতায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা নির্ভর করছে ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টের ওপর।
ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টের ভিত্তিতে মূলত এই শাস্তি হয়। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় জরিমানা, নিষেধাজ্ঞা, আবার সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন জরিমানা সতর্কের মধ্যে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৪
এআর/এমএইচএম