ঢাকা, রবিবার, ২০ পৌষ ১৪৩১, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪ রজব ১৪৪৬

ফুটবল

যেসব শর্ত ভঙ্গে বাফুফের হাতছাড়া হতে পারে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৫
যেসব শর্ত ভঙ্গে বাফুফের হাতছাড়া হতে পারে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ছবি: সংগৃহীত

দেশের ফুটবলে মাঠ সংকট নতুন কিছু নয়। বাফুফের নতুন কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম বরাদ্দ চেয়েছিল।

২৫ বছরের জন্য বাফুফেকে সেই স্টেডিয়াম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে এই স্টেডিয়াম নিজেদের অধীনে রাখতে বাফুফেকে মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত।

আজ বাফুফের কাছে স্টেডিয়াম বরাদ্দের চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সেখানেই এই স্টেডিয়ামের লিজ বহাল রাখতে বেশ কিছু শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য শর্ত হচ্ছে, স্টেডিয়ামের যে কোনো ধরনের সংস্কার, মেরামত ও উন্নয়নমূলক কাজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে অবহিত করে সম্পন্ন করতে হবে এবং এ কাজের যাবতীয় ব্যয়ভার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে বহন করতে হবে।

এছাড়া লীজকৃত সময়সীমার মধ্যে ক্রীড়ানুষ্ঠান চলাকালীন বা অন্য কোন কারণে মাঠ কিংবা স্টেডিয়ামের অবকাঠামোর কোন ক্ষতি হলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সেই ক্ষয়-ক্ষতির ব্যয়ভার বহন করবে। স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ (ফ্লাড লাইটসহ), পানি, গ্যাস, টেলিফোনসহ ও অন্যান্য ইউটিলিটি বিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে বহন করতে হবে। উক্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিকমানের খেলাধুলায় ১৫% গেটমানি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুকূলে প্রদান করতে হবে। এছাড়াও আর বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে।

দ্রুতই খসড়া চুক্তি সম্পাদনের জন্য বাফুফের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে। আজ জাতীয় পরিষদের উপসচিব মাহবুব মোরশেদ সোহেল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।  

স্টেডিয়ামের লিজ অব্যাহত রাখতে শর্তসমূহ:

০১। আগামী ২৫ (পঁচিশ) বছর এই লীজ চুক্তি কার্যকর থাকনে।

০২। উল্লেখিত স্টেডিয়ামের যে কোন ধারনের সংস্কার, মেরামত ও উন্নয়নমূলক কাজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে অবহিত করে সম্পন্ন করতে হবে এবং এ কাজের যাবতীয় ব্যয়ভার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন-কে বহন করতে হবে।

০৩। লীজকৃত সময়সীমার মধ্যে ক্রীড়ানুষ্ঠান চলাকালীন বা অন্য কোন কারণে মাঠ কিংবা স্টেডিয়ামের অবকাঠামোর কোন ক্ষতি সাধিত হলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন উক্ত ক্ষয়-ক্ষতির ব্যয়ভার বহন করবে।

০৪। উপরোক্ত স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ (ফ্লাড লাইটসহ), পানি, গ্যাস, টেলিফোনসহ ও অন্যান্য ইউটিলিটি বিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন-কে বহন করতে হবে।

০৫। উক্ত স্টেডিয়ামে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলা চলাকালীন পরিষদের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসদ সংরক্ষণ করতে হবে।

০৬। উক্ত স্টেডিয়ানের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন তথা স্টেডিয়ামসমূহের পরিবেশ সুন্দর রাখতে হবে।

০৭। পরিষদের অনুমতি ও তত্ত্বাবধান ব্যতিরেকে স্টেডিয়ামের মৌলিক কাঠামোর কোন পরিবর্তন করা যাবে না।

০৮। উক্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিকমানের খেলাধুলায় ১৫% গেটমানি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুকূলে প্রদান করতে হবে।

০৯। অত্র পরিষদের পূর্বানুমতি ব্যতিত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন উক্ত স্টেডিয়াম অন্য কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করতে পারবে নাঃ

১০। পরিষদের প্রয়োজনে কমপক্ষে ০৩ (তিন) মাসের নোটিশে এই অনুমতিপত্র বাতিলের ক্ষমতা জাতীয় ঐনিয়া পরিষদ সংরক্ষণ করে।

১১। উপরোক্ত শর্তবলী সন্তোষজনক পালন সাপেক্ষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চুক্তি নবায়ন করতে পারবে এবং

১২। উক্ত স্টেডিয়ামের বিপরীতে ভূমিকয়সহ বিধিদত সকল রাজস্ব ব্যয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে বহন করতে হবে

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৪
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।