গত মৌসুমে ট্রেবল জেতা বসুন্ধরা কিংসের এবারের মৌসুম যেন খেই হারানো এক অধ্যায়। ঘরোয়া ফুটবলে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখানো ক্লাবটি এবার নিজেদের মান ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে।
শনিবার ঘরের মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে ২-১ গোলে হেরে নিজেদের শিরোপা জয়ের পথটা আরও কঠিন করে তুলেছে ভালেরিউ তিতার শিষ্যরা।
মোহামেডানের হয়ে ম্যাচে জোড়া গোল করেন মালির স্ট্রাইকার সোলেমান দিয়াবাতে। বসুন্ধরার একমাত্র গোলটি করেন রাকিব হোসেন।
ম্যাচের ১৮তম মিনিটেই গোলের দেখা পায় মোহামেডান। কিংস ডিফেন্ডার দাসিয়েল এলিস ও গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের ভুলের সুযোগ নিয়ে বল কেড়ে নেন দিয়াবাতে। এরপর ফাঁকা পোস্টে ঠাণ্ডা মাথায় বল জড়িয়ে মোহামেডানকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক।
তবে সেই ভুলের প্রায় ৬ মিনিট পরেই গোল শোধ দেয় কিংস। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া সোহেল রানার শট রক্ষা করেন মোহামেডান গোলরক্ষক, কিন্তু ফিরতি বল পেয়ে রাকিব হোসেন স্কোরলাইন ১-১ করেন।
বিরতির পরেই ম্যাচের গতি আরও পাল্টে যায়। ৪৮ মিনিটে বসুন্ধরার রিমন মাহমুদ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ডের ফাঁদে পড়েন। ইমানুয়েল সানডেকে পেছন থেকে টেনে ধরায় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে, ফলে কিংস পড়ে যায় ১০ জনের দলে।
একজন বেশি নিয়ে মাঠে আগ্রাসী হয়ে ওঠে মোহামেডান। প্রতিপক্ষের চাপ সামাল দিতে কিংস কোচ তিতা একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন করেন। মাঠে নামেন ইভান্স এত্তি, সাব্বির হোসেন ও হুয়ান লেসকানো; তুলে নেওয়া হয় জনাথন ফার্নান্দেজ, মজিবুর রহমান জনি ও ফয়সাল ফাহিমকে।
৮৬ মিনিটে সানডের লং পাস থেকে দুর্দান্ত গতি আর ফিনিশিংয়ে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের জয়সূচক গোলটি করেন দিয়াবাতে। এটি ছিল দিয়াবাতের চলতি লিগে নবম গোল।
ম্যাচের বাকি সময়ে সমতা ফেরাতে মরিয়া চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় কিংস। ম্যাচ হেরে ১১ খেলায় ২০ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন টেবিলের তিন নম্বরে। শীর্ষে থাকা মোহামেডানের পয়েন্ট ৩০, আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনীর সংগ্রহ ২৬।
এ হারে কিংসের সামনে শিরোপা ধরে রাখার পথটা অনেকটাই কঠিন হয়ে গেল।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৫
এআর/এমএইচএম