ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো। আগামীকাল (৪ জুন) ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ভুটানের মুখোমুখি হবে জামাল ভূঁইয়া, হামজা চৌধুরীসহ লাল-সবুজের দল।
এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে টিকিট বিতরণ নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এই ইস্যুতে দ্বিতীয় দিনের মতো বাফুফে ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে দেশের অন্যতম সংগঠিত সমর্থক গোষ্ঠী ‘বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস’। গেটের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে তারা অবস্থান নিয়েছে টিকিট পাওয়ার দাবিতে। ঘোষণা এসেছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কর্মসূচি চলবে।
এই পরিস্থিতিতে বাফুফের পক্ষ থেকে দেখা যায়নি কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ। ফেডারেশনের কর্মকর্তারা মূল গেট এড়িয়ে পেছনের গেট দিয়ে ভবনে প্রবেশ করে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
আলট্রাসের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান অভি বলেন, ‘আমরা বিনামূল্যে টিকিট চাইনি, নিজেদের অর্থেই কিনতে চেয়েছি। কিন্তু অনলাইনে টিকিট কিনলে আমরা সবাই একসঙ্গে গ্যালারিতে বসতে পারি না। তাই দুই মাস আগে থেকেই বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ওরা কেবল আশ্বাস দিয়েছে, কার্যকর কিছু করেনি। এখন ১০০টি টিকিট দেওয়ার কথা বলছে, যা আমাদের প্রতি অবজ্ঞা ছাড়া কিছুই নয়। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ফুটবলের দুঃসময়ে আমরা পাশে ছিলাম। আজ যখন ফুটবলে নতুন করে সুদিন ফিরছে, তখন আমরা অবহেলিত। এটা মেনে নেওয়া যায় না। ’
আলট্রাস ছাড়াও বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরামসহ আরও কয়েকটি সমর্থক সংগঠন টিকিট বিতরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। অনেকেই মনে করেন, ফুটবলের কঠিন সময়ে মাঠে গিয়ে দলকে সমর্থন দিয়েছেন তারাই। এখন তাদের বাদ দেওয়া অনুচিত।
প্রথমবারের মতো বাফুফে পুরো টিকিট প্রক্রিয়া অনলাইনে পরিচালনা করছে। তাদের টিকিটিং পার্টনার টিকিফাই সাইবার আক্রমণের শিকার হওয়ায় অনেকেই টিকিট কিনতে পারেননি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন কেউ কেউ।
তবু বাফুফে দাবি করছে, অল্প সময়েই সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এ নিয়ে স্বচ্ছতা ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন সমর্থকরা।
এমন পরিস্থিতিতে এক সময় প্রবাসী ফুটবলারদের দলে ভেড়ানোয় সমর্থকদের প্রশংসা পাওয়া সহ-সভাপতি ফাহাদ করিমও পড়েছেন সমালোচনার মুখে।
ফুটবলে নতুন করে আশার আলো দেখা দিলেও, এমন বঞ্চনা ও ফেডারেশনের উদাসীনতা ফেডারেশনের দায়িত্ববোধ নিয়েই প্রশ্ন তুলছে।
এআর/আরইউ