ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

ফুটবল

না ফেরার দেশে আবাহনীর ‘অমলেশ দা’

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৭
না ফেরার দেশে আবাহনীর ‘অমলেশ দা’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

দেশের ফুটবলের জায়ান্ট ক্লাব আবাহনীর বর্তমান কোচ অমলেশ সেন না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। আবাহনীর কোচ হিসেবে কাজ করেছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। আবাহনী আর অমলেশ সেন একই সুতোয় বাঁধা ছিল।

জাতীয় দলের হয়ে মাঠ কাঁপানো এই সাবেক ফুটবলারকে ফুটবল পাগলরা ডাকতেন ‘অমলেশ দা’। ঢাকার ফুটবলের চেনা মুখ অমলেশ সেন শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর মারা যান।

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার আগে স্ত্রী আর তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে অমলেশ সেনের সংসার গড়ে ওঠেছিল।

এ মৌসুমেও সার্বিয়ান কোচ দ্রাগো মামিচের সহযোগী হিসেবে কাজ করছিলেন অমলেশ সেন। শনিবার বিকেলেও খেলোয়াড়দের নিয়মিত অনুশীলন করিয়েছেন। অনুশীলনের পরপরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর প্রথমে ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও পরে জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্কুলজীবন থেকে ফুটবল খেলে বেড়ে ওঠা অমলেশ সেন দলের প্রয়োজনে সব পজিশনেই খেলতেন। তার জন্ম বগুড়ায়, ২ মার্চ ১৯৪৩ সালে। ঢাকায় খেলেন ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস আর ইস্টএন্ডের হয়ে। ১৯৭০ সালে যোগ দেন ঢাকা মোহামেডানে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন অমলেশ শেন। ১৯৭২ সালে যোগ দেন ঢাকা আবাহনীতে। সেই থেকে টানা ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত খেলেছেন তার প্রিয় দলেই। অবসর গ্রহণের পর থেকে তিনি আবাহনীর সঙ্গেই নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন।

ফুটবল ক্যারিয়ারে দীর্ঘ সময় খেলেছেন আবাহনীতে। মাঝখানে ১৯৯০-১৯৯৫ পর্যন্ত কোচ হিসেবে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধায়। ১৯৯৬ সালে আবার তিনি আবাহনীর কোচের দায়িত্ব পালন করেন এবং এরপর থেকে আবাহনীর সঙ্গেই ছিলেন। ক্লান্তি কিংবা অর্থের মোহ কখনই তাকে বিচ্যুতি হতে দেয়নি আবাহনী থেকে। ফুটবল ছাড়াও তিনি ক্রিকেট খেলেছেন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বগুড়া একাদশের ওপেনিং ব্যাটসম্যান। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতির সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন। তাছাড়া ১৯৯৮ সালে পান জাতীয় পুরস্কার।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ৭ অক্টোবর ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।