ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

ফুটবল

৩ মাস মাঠের বাইরে নেইমার!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২২ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৮
৩ মাস মাঠের বাইরে নেইমার! ছবি: সংগৃহীত

তিন মাস পর রাশিয়ায় বসছে বিশ্বকাপ আসর। ব্রাজিলের জন্য দুঃসংবাদ সার্জারির পর নেইমারের মাঠে ফিরতে তিন মাস সময় লেগে যেতে পারে। ডান পায়ে অপারেশনের আগে এমন শঙ্কার কথাই প্রকাশ করেছেন ব্রাজিল ন্যাশনাল টিম ডাক্তার রদ্রিগো লাসমার।

শনিবার (৩ মার্চ) সকালে ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তে শহরের মাতের দেই হাসপাতালে নেইমারের অস্ত্রোপচার করানো হবে। ইতোমধ্যেই জন্মভূমিতে ফিরে গেছেন পিএসজি সুপারস্টার।

গত রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মার্শেইয়ের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জেতা লিগ ম্যাচটিতে অ্যাঙ্কেলে (গোড়ালি) মারাত্মক চোট পান নেইমার। পরীক্ষার রিপোর্ট বড় ধরনের দুঃসংবাদই বয়ে আনে। গোড়ালির হাড় না ভাঙলেও ডান পায়ের পাতার একেবারে ডান পাশের (পঞ্চম) হাড়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে। বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোড়ালি।

মে মাসের আগে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তিন মাসও লাগতে পারে। এরপর নিজেকে সেরা রূপে আবিষ্কার করতে পূর্ণ ছন্দ ফিরে পেতে পেতে চলে আসবে বিশ্বকাপ। এটিই সেলেকাওদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব মঞ্চে সেরা নেইমারকে দেখা যাবে তো!

সেই আশঙ্কার কথাই শুনিয়েছেন রদ্রিগো লাসমার। তিনি বলছেন জুনের আগ পর্যন্ত হয়তো মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে নেইমারের, রাশিয়া ওয়ার্ল্ডকাপ শুরুর মাত্র দুই সপ্তাহ আগে।

রিও ডি জেনিরো-গালাইও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেইমার পৌঁছানোর পর সংবাদমাধ্যমকে লাসমার বলেন, ‘আমরা আশা করছি সার্জারির জন্য নেইমার সেরা কন্ডিশনে থাকবে। ’

পায়ের পাতার পঞ্চম হাড় (ফিফথ মেটাটারসাল) ফ্র্যাকচার ইনজুরি প্রাথমিক ধারণার চেয়ে খারাপ বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লাসমার, ‘নেইমার ফিফথ মেটাটারসাল ফ্র্যাকচারে ভুগছে। এটা তার পায়ের উল্লেখযোগ্য ফ্র্যাকচার। এখানে বিভিন্ন রকমের ফ্র্যাকচার হয়। এ ধরনের ফ্র্যাকচার অনেক সময়ই অগোচরে থাকে এবং তা আরও বড় হতে থাকে, যেমনটা হয়েছে নেইমারের, এতে কোনো সন্দেহ নেই। ’

‘সেরা এবং একমাত্র সমাধান সার্জারি, কারণ অধিক রক্ষণশীল চিকিৎসায় সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে আরেকটি ফ্র্যাকচার হওয়ার সুযোগ থাকে। আমরা তাকে নিয়ে ওই ঝুঁকিটা নিতে পারি না। ’

এ ধরনের ফ্র্যাকচার নেইমারের রিকোভারি টাইম বাড়িয়ে দিতে পারে বলেও শঙ্কা ব্যক্ত করেছেন লাসমার, ‘সেরে ওঠার সময় দুই বা আড়াই বা তিন মাস। প্রত্যেক খেলোয়াড়ই ভিন্ন। উদ্দেশ্য হচ্ছে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রতিনিয়ত রিকোভারি নিয়ন্ত্রণ করা। ’

আকস্মিক বড় ধরনের ইনজুরিতে ২৬ বছর বয়সী নেইমারের মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। লাসমারের কথায়, ‘নেইমার ব্যথিত, কিন্তু সে বুঝতে পেরেছে যে এখন তার কাছে অন্য কোনো বিকল্প নেই। সেরে ওঠার জন্য সে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করবে। আমরা তাকে যত দ্রুত সম্ভব প্রস্তুত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ২ মার্চ, ২০১৮
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।