ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

নেইমারদের কাঁদিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২০
নেইমারদের কাঁদিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতেছে বায়ার্ন মিউনিখ তারকারা

চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মান জায়ান্টরা ফাইনালে ১-০ গোলে হারিয়েছে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে (পিএসজি)।

জশুয়া কিমিচের বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়া বলে ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে কিংসলে কোম্যানের হেড থেকে দেওয়া গোল আর শোধ করতে পারেনি প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা পিএসজি। শেষ পযর্ন্ত এই ব্যবধান ধরে রেখে শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে হ্যান্স ফ্লিকের শিষ্যরা।  

সোমবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে পর্তুগালের লিসবনে ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণের পসরা সাজায় দু’দল। ১৯তম মিনিটে গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার বাঁচিয়ে দেন বায়ার্নকে। এর তিন মিনিট পর পিএসজিকে রক্ষা করে গোলপোস্ট। ব্যর্থ হয় রবার্ট লেভানদভস্কির চেষ্টা।  

৩২তম মিনিটে পোলিশ স্ট্রাইকারের হেড ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল পিএসজি শিবিরে। তবে এবার চোট থেকে ফেরা কেইলর নাভাসের বিশ্বস্ত গ্লাভসজোড়া দুর্দান্তভাবে লুফে নেয় বল। তার আগে আন্দ্রে হেরারার বুলেট গতির মাটিঘেঁষা শটকে পরাস্ত করেন পুরো ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত সেভ দেওয়া নয়্যার।

দুই দলের গোলরক্ষক যেন নিজেদের সেরা ফর্ম নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গোলপোস্টের নিচে। প্রথমার্ধের যোগ করা প্রথম মিনিটে আবারও বায়ার্নের ত্রানকর্তা ৩৪ বছর বয়সী নয়্যার। সহজ সুযোগ পেয়েও কিলিয়ান এমবাপ্পের নেওয়া দুর্বল শট রুখে দিতে কোনো বেগ পেতে হয়নি জার্মান অধিনায়কের।  

একের পর এক আক্রমণ এবং গোল মিসের মহড়া শেষে শূন্য স্কোর নিয়ে বিরতিতে যায় দু’দল। দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়ে তারা। তবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বায়ার্নকে। এক দুর্দান্ত আক্রমণ থেকে কোম্যান হেডে বল পাঠিয়ে দেন পিএসজির জালে।

এরপর আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে বায়ার্ন। গোল হজমের পরের তিন মিনিটের মধ্যে দু’বার পিএসজিকে রক্ষা করেন দুই ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিমবাপ্পে এবং অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা। পরে বেশ কয়েকবার সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েও নষ্ট করেন এমবাপ্পে-অ্যাঙ্গেল দি মারিয়া। নয়্যারের অতিমানবিক পারফর্ম্যান্সের সুবাদে বায়ার্নের জালে বল জড়াতে পারেনি পিএসজি তারকারা। এরপর রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে ৭ বছর পর আবারও ইউরোপ সেরা হওয়ার আনন্দে মেতে ওঠে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।  

বায়ার্নের এটি ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। এর আগে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০১৩ সালে, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে।  সেই সঙ্গে বাভারিয়ানরা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের দিক দিয়ে ছুঁয়ে ফেলেছে গত আসরের শিরোপাজয়ী লিভারপুলকে। ছয়টি করে শিরোপার মালিক লিভারপুল-বায়ার্নের ওপরে আছে কেবল এসি মিলান (৭) এবং রিয়াল মাদ্রিদ (১৩)।  

এছাড়া বাভারিয়ানরা ২০১৯/২০ মৌসুমে স্বপ্ন পূরণ করেছে ট্রেবল জয়ের। বুন্দেসলিগা ও জার্মান কাপ জয়ের পর এবার তারা জিতল চ্যাম্পিয়নস লিগ। বার্সেলোনার পরে দ্বিতীয় দল হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রেবল জয়ের স্বাদ পেলো বায়ার্ন। বাভারিয়ানরা প্রথম ট্রেবল জিতেছিল ২০১৩ সালে।

প্রথম ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে ছিল পিএসজিও। কিন্তুু টমাস টুখেলের শিষ্যরা পারেনি ফরাসিদের আনন্দের উপলক্ষ এনে দিতে।

নেইমার-দি মারিয়া-এমবাপ্পেরা পারেনি দীর্ঘদিনের সতীর্থ সিলভার বিদায়ী ম্যাচ রাঙিয়ে দিতে। পিএসজির সঙ্গে মধুর সম্পর্কের ইতি টানা ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার পার্ক দে প্রিন্সেসে তার আট বছরের অধ্যায়ে জিতেছেন ২৩টি শিরোপা। তবে অধরা রয়ে গেলো চ্যাম্পিয়নস লিগ।

বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২০
ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।