ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান শিরোপা প্যারিস সেন্ট জার্মেইর কাছে ডালভাত। তাইতো ইউরোপ সেরা হওয়ার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন অর্থ খরচ করতেও কোনো রাখঢাক রাখছে না মালিকপক্ষ।
লিসবনে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় প্রথমবারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া পিএসজি। তবে দুঃখের ব্যাপার হলেও সত্য পিএসজির এক ঘরের ছেলেই তাদের সর্বনাশ নিশ্চিত করেছেন। তিনি আর কেউ নন, পুরো ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা কিংসলে কোম্যান।
২০০২ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ফ্রান্সেরই সেঁয়ার্ত-মোইসিতে ক্লাবের যুব দলে শুরু করার পর পাড়ি দেন ফরাসি শীর্ষ ক্লাব পিএসজির যুব দলে। ১০ বছর বয়সে সেখানে যোগ দেওয়া এই উইঙ্গার দলটির যুবা টিমে খেলেন ৯ বছর। পরবর্তীতে পিএসজির ‘বি’ দলে খেলে ২০১৩ সালে সিনিয়র দলে অভিষেক ঘটে।
কোম্যান মাত্র ১৬ বছর ৮ মাস ৪ দিনে পিএসজির হয়ে সোচহাক্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলে ক্লাবটির ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ফুটবলার হিসেবে নাম লেখান। তবে পিএসজির প্রথম দলের নিয়মিত সদস্য হতে না পেরে ২০১৪ সালে ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসে চলে যান এই তারকা।
তুরিনের বুড়িদের হয়ে এক মৌসুম খেলে ধারে চলে যান বায়ার্নে। পরবর্তীতে বাভারিয়ানদের সঙ্গে ২০১৬-১৭ মৌসুমে ২১ মিলিয়ন ইউরোর পাকাপাকি চুক্তিতে যোগ দেন।
মজার ব্যাপার ২০১১ সালে কাতারি ধনকুবের পিএসজির মালিকানায় আসার পর খেলোয়াড় কেনার পেছনে ১.২ বিলিয়ন ইউরো খরচ করা হয়েছে। তবে নিজেদের একাডেমি থেকে উঠে আসা এক ফুটবলা, যাকে কিনা ছুড়ে ফেলেছিল, সেই কিংসলে কোম্যানই পিএসজিকে প্রথম শিরোপ জিততে দিল না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২০
এমএমএস