জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়েতে প্রবেশ করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন রোনালদিনহো। মাসখানেক জেলখানায় থাকার পর ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে জামিন পেলেও আরও ৪ মাসের বেশি সময় হোটেলবন্দি করা হয় তাকে।
সোমবার প্যারাগুয়ের আদালতের এক আদেশে মুক্তি পান রোনালদিনহো। মুক্তি দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে আটক করা ভাই রবের্তোকেও।
এর আগে তিনি ও তার ভাই রবের্তোকে জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়ে প্রবেশের অভিযোগে ৬ মার্চ গ্রেফতার করা হয়। তবে মাসখানেক কারাগারে থাকার পর ১৬ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে জামিন পেলেও প্যারাগুয়ে ছাড়ার অনুমতি পাননি তারা। একটি চার তারকা হোটেলে বন্দি করে রাখা হয় তাদের।
এ বিষয়ে প্যারাগুইয়ান আদালতের বিচারক গুস্তাভো আমারিলা রোনালদিনহোর আদেশে জানিয়েছেন, কারামুক্তির পর তার বিদেশ সফরে কোনো বাধা থাকবে না। তবে তিনি যদি নিজের স্থায়ী ঠিকানা বদল করেন, তবে অবশ্যই আদালতকে জানাতে হবে।
রোনালদিনহোর মধ্যে অবশ্য অপরাধমূলক কোনো কাজ দেখতে পাননি বলেই জানিয়েছেন প্যারাগুইয়ান আদালত । তাদের মতে, ব্রাজিলীয় তারকা পাসপোর্ট নিজ হাতেও জাল করেননি। কিন্তু তার ভাই রবের্তো জাল পাসপোর্টের ব্যাপারটি জানতেন বলে মনে করেন আদালত। ভাইকে এখন থেকে নিয়মিতই রিও ডি জেনিরোর আদালতে হাজিরা দিতে হবে। আর রোনালদিনহো বিদেশে গেলে তাকে জানিয়ে যেতে হবে, কত দিনের জন্য তিনি যাচ্ছেন।
এদিকে বন্দি থাকা অবস্থাতেও বিতর্কিত এক কাজ করে বসেছিলেন রোনালদিনহো। ওই হোটেলে বন্দি অবস্থায় পার্টিতে মজেছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। রোনালদিনহোর পার্টিপ্রীতি নতুন কিছু নয়। নিজ দেশ ব্রাজিলে পার্টি আর ফুর্তি করায় তার জুরি মেলা ভার। এসব করে আর্থিক সংকটেও পড়তে হয়েছে তাকে। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি তার স্বভাব পাল্টাতে নারাজ। কিন্তু তাই বলে এই করোনাকালেও হোটেলবন্দি অবস্থায় পার্টি করতে হবে? এজন্য নতুন করে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
হোটেলবন্দি থাকার ক্ষেত্রে যে শর্ত আরোপ করা হয়েছিল, তা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে রোনালদিনহোর বিরুদ্ধে। প্যারাগুয়ের সংবাদমাধ্যম ‘এইচওওয়াই’র রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা রাত বেশ কয়েকজন নারী মডেলকে নিয়ে পার্টি করেন তিনি। পার্টি শেষে তাদের দামি উপহার দেন সাবেক সাবেক বার্সেলোনা, এসি মিলান এবং পিএসজি তারকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২০
এমএমএস