লিওনেল মেসি বেশ কয়েকবারই বলেছেন, ২০১৪ সালে জার্মানির কাছে বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে অনেকদিন ঘুমাতে পারেননি তিনি। তার জন্য সেটা অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতো।
১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর আর্জেন্টিনার জন্য সবচেয়ে বড় সুযোগ ছিল ব্রাজিলের মাটিতে। কিন্তু মারিও গোৎজের ১১৪ মিনিটের গোলে স্বপ্নভঙ্গ হয় আলবিসেলেস্তেদের। সেই গোৎজে আছেন জার্মানির এবারের বিশ্বকাপ দলেও। তাকে নেওয়া অনেকটা চমকই বলা যায়।
২০১৭ সালের পর জাতীয় দলের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলেননি তিনি। ৩০ বছর বয়সী ফুটবলারকে তবুও কাতার বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রেখেছেন জার্মানির কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। তিনি বলেছেন, ‘গোৎজের থাকা আমাদের অনেক বিকল্প দেবে। ’
জার্মানদের স্কোয়াডে বড় চমক অবশ্য বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ১৭ বছর বয়সী ফুটবলার ইউসুফা মৌকোকো। মূলত চোটে পড়ে টিমো ভেরনেরারের বাদ পড়াতেই সুযোগ মিলছে তার। এই মৌসুমে বুন্দেস লিগায় ছয় গোল করেছেন তিনি।
জার্মানির বিশ্বকাপ স্কোয়াড-
গোলরক্ষক : ম্যানুয়েল ন্যুয়ার (বায়ার্ন মিউনিখ), মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন (বার্সেলোনা), কেভিন ট্র্যাপ (ফ্রাঙ্কফুর্ট)
ডিফেন্ডার : ম্যাথিয়াস গিন্টার (ফ্রেইবার্গ), আন্তোনিও রুডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ), নিকলাস সুলে (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), নিকো শ্লোটারবেক (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), থিলো কেহেরার (ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড), ডেভিড রাউম (আরবি লিপজিগ), লুকাস ক্লোস্টারম্যান (আরবি লিপজিগ), আরমেল বেলা-কোটচাপ (সাউদাম্পটন), ক্রিশ্চিয়ান গুন্টার (ফ্রাইবার্গ)
মিডফিল্ডার : ইল্কে গুন্দোগান (ম্যানচেস্টার সিটি), জোনাস হফম্যান (বরুসিয়া মোয়েনচেংগ্লাডবাখ), লিওন গোরেটজকা, সার্জ গ্যানাব্রী, লেরয় সানে, জামাল মুসিয়ালা, জোশুয়া কিমিচ, থমাস মুলার (সবাই বায়ার্ন মিউনিখ), জুলিয়ান ব্র্যান্ডট (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), মারিও গোৎজে (ইন্ট্রাক্ট ফ্রাঙ্কফুর্ট)
স্ট্রাইকার : কাই হাভার্টজ (চেলসি), ইউসুফা মৌকোকো (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), নিকলাস ফুলক্রুগ (ওয়ের্ডার ব্রেমেন), করিম আদেইমি (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড)
বাংলাদেশ সময় : ১৮৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
এমএইচবি