ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রাজশাহীতে ৯ লাখ কিশোরীকে এইচপিভি টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
রাজশাহীতে ৯ লাখ কিশোরীকে এইচপিভি টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা

রাজশাহী: রাজশাহীতে আজ থেকে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে রাজশাহী বিভাগে প্রায় ৯ লাখ কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

সেই লক্ষ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও বিভাগের আটটি জেলায় আজ থেকে শুরু হয়েছে এ টিকাদান কার্যক্রম। আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে টিকাদান কার্যক্রম।  

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে বিভাগীয় পর্যায়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমি জানি তোমরা মেয়েরা একটু ভয় পাও। তোমরা টিকা নিতে কোনো ভয় পাবে না। এ টিকা বেলজিয়াম থেকে আমদানি করা হয়েছে। এটি বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত। তাই নিরাপদ। তোমরা তোমাদের সহপাঠীদের টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করবে, যাতে টিকা নিতে কেউ বাদ না পড়ে। এ টিকা অনেক মূল্যবান। এখন যদি টিকা নেওয়া থেকে কেউ বাদ পড়ো, তাহলে পরে এ টিকা নিতে হবে তিনটি ডোজের মাধ্যমে, যার মূল্য প্রায় সাড়ে সাত হাজার টাকা।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ূন কবীর বলেন, মেয়েদের তিন ধরনের ক্যানসার বেশি হয়। জরায়ুমুখ ক্যানসার, জরায়ু ক্যানসার ও ডিম্বাশয় ক্যানসার। অন্য ক্যানসারের টিকা আবিষ্কার করা না গেলেও জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা আবিষ্কার করা হয়েছে। এ ক্যানসারে আক্রান্ত দেশে অনেক মেয়ে মারা যায়। সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশে এ রোগে মৃত্যুর হার চতুর্থ। এটির প্রধান কারণ হচ্ছে বাল্যবিয়ে। অল্প বয়সে বিবাহিত নারীদের এ ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে। কোভিডের আগে বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে ছিল শতকরা ৩১ শতাংশ। কোভিডের পরে সেটা দাঁড়িয়েছে শতকরা ৪১ ভাগ।

এদিকে রাজশাহী স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর জানিয়েছেন, এ বিভাগে প্রায় ৯ লাখ ৫৫ হাজার জনকে এ টিকা দেওয়া হবে। রাজশাহী মহানগরীর জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ স্কুল পর্যায়ে ২৪ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ১০ কর্মদিবস চলমান থাকবে। মহানগরীর ৩০৬টি স্কুলের ২৩ হাজার ৫১০ জন শিক্ষার্থীকে এইচপিভি টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্কুল পর্যায়ে ২৫৩টি কেন্দ্রে ২ জন টিকাদানকারী, ২ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। আর কমিউনিটি পর্যায়ে ৭ নভেম্বর শুরু হবে এবং পরবর্তী ৮ কর্মদিবসে ৬০টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া কার্যক্রম চলমান থাকবে। টিকা পেতে নিবন্ধন করতে হবে www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।