ঢাকা: আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় জাতীয় গৃহগণনা ও জনসংখ্যা শুমারির কাজে দেড় লাখের বেশি নারীকে নিয়োজিত করা হবে।
এ কাজে মোট গণনাকারীর অর্ধেকের বেশি নারী নিয়োগ করা হবে বলে সম্প্রতি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক শাহজাহান আলী মোল্লা।
২০১১ সালের ১৫ থেকে ১৯ মার্চ পঞ্চম জনসংখ্যা শুমারি অনুষ্ঠিত হবে।
গৃহগণনা ও জনসংখ্যা শুমারির প্রকল্প পরিচালক অসীম কুমার দে বুধবার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগামী শুমারির জন্য আমাদের তিন লাখ ৩০ হাজার গণনাকারী নিয়োগ করতে হবে। এরই মধ্যে এর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ’
শাহজাহান আলী মোল্লা বলেন, ‘সাধারণত নারীরা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বেশি সচেতন ও আন্তরিক। এছাড়া জনসংখ্যা শুমারির তথ্য সংগ্রহ করতে গণনাকারীকে বাড়ির ভেতরে পর্যন্ত যেতে হয়। দিনের বেলা তথ্য সংগ্রহের কাজ চলে। এসময় বেশিরভাগ পুরুষই বাড়িতে থাকেন না। ফলে পুরুষ গণনাকারীদের বাড়ির ভেতর পর্যন্ত যাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা হয় না। তাই কমপক্ষে অর্ধেক নারী গণনাকারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘দেশে মেয়েদের শিক্ষার হার বাড়ছে। শিক্ষিত মেয়েদের কর্মসংস্থান ও তাদের ক্ষমতায়নও আমাদের লক্ষ্য। ’
অসীম কুমার দে বলেন, যত বেশি নারীকে পাওয়া যাবে তাদের সবাইকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে আমাদের। তবে অর্ধেক হিসাবে অন্তত এক লাখ ৬৫ হাজার নারী গণনাকারী নিয়োগ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘নোয়াখালী ও চট্টগ্রামসহ কোনো কোনো অঞ্চলে মেয়েরা সামাজিক নানা কারণে এ কাজ করতে রাজি হয় না। তাই সেসব এলাকায় হয়তো অর্ধেক হবে না। আবার ময়মনসিংহসহ অনেক অঞ্চলে মেয়েরা স্বত:স্ফূর্তভাবেই এগিয়ে আসছে।
গণনাকারীদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে কিছু জানাতে রাজি হননি অসীম কুমার দে।
প্রকল্পের এক কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে গণনাকারি নিয়োগের জন্য জনবল শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, প্রতি ১০ বছর পরপর বাংলাদেশে জনসংখ্যা শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০১ সালে। এর আগে ১৯৭৪, ১৯৮১ ও ১৯৯১ সালে শুমারি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময় ১৩৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১০