ক্রিকেট
পথ হারানো আফগানিস্তানের বোলারদের বিপক্ষে নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান যেন হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিরোধ্য। অনেকটা অযথাই নিজের উইকেট
প্রথমে ফিফটি করেন লিটন দাস, এরপর বহুল কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির দেখা পান মুমিনুল হক। লিড ততক্ষণে পাহাড়সম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তারপরও
ইয়ামিন আহমেদজাইয়ের বাউন্সার মুমিনুল হক আপার কাটে তুলে দিলেন কিপারের মাথার উপর দিয়ে। বল বাউন্ডারি ছুঁতেই এই ব্যাটার ছুঁয়ে ফেললেন
প্রথম ইনিংসে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই ফিরেছিলেন মুমিনুল হক। তার রানখরা এবারও হয়তো কাটবে না তার; এমনটাই ভাবা হচ্ছিল। তবে সব শঙ্কা
বিশাল লিডের ইঙ্গিত আগের দিন শেষ বিকেলেই পাওয়া যাচ্ছিল। আজ তা বাস্তবে রূপ পেল। সকালের সেশনে জাকির হাসান বিদায় নিলেও টানা দুই ইনিংসে
এই সেশনটি নাজমুল হোসেন শান্তর। কেবল দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে তিনি এক টেস্টের দুই ইনিংসেই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। সেশনটি জাকির
বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেকদিন ধরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে বড় কিছু করে দেখানোর স্বপ্ন। সামনের এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ হতে পারে এর জন্য সবচেয়ে বড়
সেঞ্চুরি ছুয়ে ব্যাটে চুমু এঁকে নাজমুল হোসেন শান্ত সেটি ভাসিয়ে দেন হাওয়ায়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরিও করলেন
দুর্দান্ত ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন জাকির হাসান। অনেকটা পথ এগিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু রানআউট হয়ে বিদায় নিলেন
আগের দিন শেষ বিকেলে ব্যাট হাতে যে দাপট দেখিয়েছেন জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত; তা আজ সকালেও দেখাচ্ছেন তারা। আর তাতে ভর
এবাদত হোসেন প্রথম উইকেট পেয়েই দিয়েছিলেন স্যালুট। এরপর একে একে নিয়েছিলেন আরও তিন উইকেট। চা বিরতি যাওয়ার আগে আফগানিস্তানের ছিল দুই
সকালের শুরু হয়েছিল হতাশায়। ২০ রানের ভেতরই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ হয়ে যায় অলআউট। এরপর বোলাররা দারুণভাবে সামাল দেন সব,
অবশেষে পাকিস্তানের দেওয়া হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাবেই হচ্ছে এশিয়া কাপ। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা নিশ্চিত করেছে এশিয়ান
চা-বিরতির পর মাত্র তিন ওভারেই শেষ হয়ে গেল আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংস। সফরকারীরা গুটিয়ে গেল মাত্র ১৪৬ রানেই। শেষ ব্যাটার
৫০১ রানের লক্ষ্য! তা দেখেই যেকোনো দলের ভ্রু কুঁচকে যাওয়ার কথা। কিন্তু দৃঢ়চেতা মানসিকতা নিয়ে সেই লক্ষ্য ৫ উইকেট হাতে রেখেই তাড়া
সকালে আফগানিস্তানের বোলাররা করলেন দারুণ কিছু। কেবল ২০ রান তুলতেই বাংলাদেশকে অলআউট করে তারা। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানরা করতে
উইকেটরক্ষক মিলিয়ে স্লিপ ও গালিতেই দাঁড়িয়ে আছেন সাত জন ফিল্ডার। ৩০ গজ বৃত্তের ভেতর আরও দুজন। এমন আক্রমণাত্মক ফিল্ড সেটা-আপেই
ক্যাচ মিস ও রান আউট মিসের হতাশা ছিল। তবে সেটা দ্রুতই কাটিয়ে নেয় বাংলাদেশ। জীবন পাওয়া দুই আফগান ওপেনারকে বিপদ হতে দেয়নি। ব্যাটিংয়ে
‘১০ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে পাঁচশ রান করবো’ কথাটা মজা করেই বলেছিলেন জনাথন ট্রট। কিন্তু আফগানিস্তানের বোলাররা হয়তো মনে মনে জঁপছিলেন
ব্যক্তিগত ফিফটির দোরগড়ায় থেকেই প্রথম দিন শেষ করেছিলেন দুজন। কিন্তু দ্বিতীয় দিন সকালে কেউই পেলেন না ফিফটির দেখা। আক্ষেপ নিয়ে
পুরোনো সংবাদ গুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন