বিসিএলে টানা দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিপিএলে পা রেখেছিলেন জাকের আলী। প্রথম ম্যাচে না পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই লাল বলের সেই ফর্ম টেনে আনলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সিলেট। থিসারা পেরেরার করা প্রথম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দেন কুমিল্লার ওপেনার লিটন দাস। বাউন্ডারি ছাড়া করেন তৃতীয় বলেও। কিন্তু সম্ভাবনাময় ইনিংসটিকে অকাল পরিসমাপ্তি দেন ডানহাতি এই ওপেনার। ওভারের চতুর্থ বলেই থার্ড ম্যান অঞ্চলে থাকা মোহাম্মদ হারিসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮ রানে সেই প্রথম ওভারেই ফিরতে হলো তাকে।
লিটন যেখানে শেষ করলেন সেখানেই যেন শুরুর সৈকত আলীর। মোহাম্মদ আমিরকে চার মেরে রানের খাতা খুলেন তিনি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম বল করতে এসে তার কাছে টানা তিন চার খেয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। সেই ওভারে ১৫ রান দেন সিলেট অধিনায়ক।
তবে লিটনের মতো সৈকতও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১২ বলে ২০ রান করে পাকিস্তানি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হন তিনি। পরের ওভারে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (২ রান) মোহাম্মদ আমিরের শিকার হয়ে ফিরলে পাওয়ার প্লের ভেতরই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা। স্কোরবোর্ডে তখন সংগ্রহ কেবল ৪৬ রান।
এমন চাপের মুখেই ব্যাটিংয়ে নামেন জাকের আলী। জুটি বাঁধেন একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার দাভিদ মালানের সঙ্গে। তবে তাদের এই জুটি ম্যাচে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। কেননা চতুর্থ উইকেটে ৫৩ রান তুলতে ৪৯ বল খরচ করেন তারা। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বেমানান। ৩৯ বলে ৩৭ রান করে ফিরলে হাতখুলে খেলতে থাকেন জাকের। রেজাউর রহমান রাজার এক ওভারে তোলেন ১৫ রান। যদিও শেষ দিকে খুব আতঙ্ক বিরাজ করতে পারেনি তার ব্যাট। এর মাঝেই হতাশ করে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন ও মোহাম্মদ নবী। মাশরাফির করা শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আবু হায়দার রনি ছয় হাঁকানোয় সিলেটকে ১৫০ রানের লক্ষ্য দিতে পারে কুমিল্লা। সিলেটের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন পেরেরা ও আমির। একটি করে শিকার করেন মাশরাফি ও ইমাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৩
এএইচএস/আরইউ