ঢাকা, রবিবার, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ শাবান ১৪৪৬

ক্রিকেট

পরের মাটিতে পাকিস্তানের টিকে থাকার লড়াই

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
পরের মাটিতে পাকিস্তানের টিকে থাকার লড়াই রোহিত শর্মা এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান/সংগৃহীত ছবি

২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক হয়েও ভিন দেশে খেলতে গেছে পাকিস্তান। কারণ তাদের মাটিতে খেলতে রাজি হয়নি ভারত।

বহু চেষ্টা করেও ক্রিকেট বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করা ভারতের জেদের কাছে হাত মানতে হয়েছে পাকিস্তানকে।  

আইসিসির মধ্যস্থতায় হাইব্রিড মডেলের এই আসরে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। ফলে নিজ দেশের কন্ডিশনের সুবিধা নিতে পারছে না পাকিস্তান। আজ দুবাই স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ভারতীয় সমর্থকদের আধিক্য থাকার সম্ভাবনাও বেশি। কিন্তু এসব ভাবার সময় নেই পাকিস্তান দলের।

কারণ পাকিস্তানের জন্য এটি 'ডু অর ডাই' ম্যাচ। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে খাদের কিনারে পৌঁছে গেছে তারা। আজ হারলেই আয়োজকর বিদায় নিশ্চিত। টিকে থাকতে হলে ২ পয়েন্ট পেতেই হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।  

অন্যদিকে ভারত আজ জিতলে পরের ধাপের দিকে অগ্রসর হয়ে যাবে। কারণ গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে তারা। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ছাড় দিতে চাইবে না রোহিতবাহিনী।  

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি পাকিস্তান বেশ সিরিয়াসলি নিয়েছে। দলটির পেসার হারিস রউফ বলেন, ‘অতীত ভুলে আমরা সবটুকু মনোযোগ দিচ্ছি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে। আগের ম্যাচের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেব আমরা এবং চেষ্টা করব সেগুলোর পুনরাবৃত্তি না করতে। আমাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ এক লড়াই, অনেকটা বাঁচা-মরার ম্যাচ। সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ বাঁচিয়ে রাখতে জেতাটা জরুরি। ’

অন্যদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আসর শুরু করা ভার‍তের ওপেনার শুভমান গিল বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান মানেই বড় ম্যাচ। ফাইনাল হলে তো আরো বড়। আমরা ভালো খেলছি। তার মানে পাকিস্তানকে ছোট করে দেখার কোনো কারণ নেই। যে দল বেশি চাপ সামলাতে পারবে, তারাই জিতবে। ওয়ানডে এমন একটি সংস্করণ, যেখানে খেলতে নামলে মনে হয় হাতে খুব বেশি সময় নেই। আউট হলে মনে হয়, হাতে কত সময় ছিল। তাই স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে খেলতে হবে। ’

ম্যাচের ভেন্যু দুবাইয়ের কন্ডিশনে স্পিনাররা বাড়তি সাহায্য পেয়ে থাকেন। কিন্তু এই বিভাগে ঘাটতি রয়েছে পাকিস্তানের। স্কোয়াডে থাকা একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার আবরার আহমেদ। কিউইদের বিপক্ষে হাত ঘোরানো অনিয়মিত দুই স্পিনার খুশদিল শাহ ও সালমান আগা ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের বিপক্ষে কতটা কার্যকর হতে পারেন, তা নিয়ে সংশয় থাকছে। পাকিস্তানের কোচ আকিব জাভেদ অবশ্য দলের পেসারদের ওপর ভরসা রাখতে চান। তার মতে, পাকিস্তানের তিন পেসার নাসিম শাহ, শাহিন শা আফ্রিদি ও হারিস রউফ হবেন দলের তুরুপের তাস।

এদিকে ভারত পাঁচজন স্পিনার নিয়ে এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এসেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনজনকে খেলিয়েছে তারা। এসব হিসাব করে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের কোনো সুযোগই দেখছেন না দেশটির সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকর, ‘ভারতের মানের ধারেকাছেও নেই পাকিস্তান। সম্প্রতি তাদের ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য করছে ভারত। এবার পাকিস্তানকে আরো দুর্বল দেখাচ্ছে। তবে এরপরও এই লড়াই নিয়ে উন্মাদনায় ভাটা পড়েনি। ’ 

পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক অবশ্য উত্তরসূরিদের হয়ে ব্যাট করেছেন, ‘ভারতের বিপক্ষে জেতার সামর্থ্য আমাদের দলের আছে। কিন্তু দায়িত্বটা খেলোয়াড়দের নিতে হবে, বিশেষ করে সিনিয়রদের। ভেবে দেখো, ভারতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচটা যদি কেউ জেতায়, তাহলে রাতারাতি মহাতারকা হয়ে যাবে। তাই চাপ থাকলেও এটাকে সুযোগ হিসেবে নাও। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।