ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরই আইপিএল ২০২৫ আবার শুরু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বেশ কিছু দিক বিবেচনায় নিতে হবে এবং চূড়ান্ত অনুমোদন আসতে হবে ভারত সরকারের দিক থেকেও।
‘সব কিছু এখনো নির্ধারিত নয়’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল বলেন, “যুদ্ধবিরতি মাত্রই ঘোষণা হয়েছে। এখন আমরা সম্ভাবনা খুঁজছি কীভাবে দ্রুত টুর্নামেন্ট আবার শুরু করা যায় এবং শেষ করা যায়। আমাদের ভেন্যু, সময়সূচি সবকিছুই ঠিক করতে হবে এবং দল, সম্প্রচারকারী ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে—সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করা। ”
রোববার হবে চূড়ান্ত আলোচনা
বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লাও নিশ্চিত করেছেন, রোববার (১১ মে) আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে বিসিসিআই কর্মকর্তারা এক বৈঠকে বসবেন এবং তখনই নতুন সূচি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, “যুদ্ধ থেমে গেছে। এখন নতুন পরিস্থিতিতে আমরা আইপিএল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বসব। কোন দিন থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে। ”
তিনটি ভেন্যু নির্ধারণ, ইডেন বাদ পড়ার আশঙ্কা
ইএসপিএনক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আইপিএলের বাকি ১৬টি ম্যাচ—১২টি লিগ ও ৪টি প্লে-অফ—আয়োজনের জন্য তিনটি ভেন্যু বেছে রাখা হয়েছে: বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদ।
তবে সরকার অনুমোদন না দিলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএল ফাইনাল ও কোয়ালিফায়ার ২ আয়োজনের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
ফের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে দলগুলোকে
এক সূত্রের বরাতে 'হিন্দুস্তান টাইমস' জানিয়েছে, পরের সপ্তাহ থেকেই আইপিএল ফের শুরু হতে পারে। যদিও মূল ফাইনাল ছিল ২৫ মে, নতুন সূচিতে তা পেছাতে পারে কয়েকদিন।
তবে বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ। কারণ, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা জুনে শুরু হওয়া ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকবেন।
এক আইপিএল কর্মকর্তা জানান, “দুই একটা ডাবল হেডার বাড়াতে হতে পারে। তবে আলোচনার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব যতটা সম্ভব দলগুলোকে হোম অ্যাডভান্টেজ দিতে। ”
এমএইচএম