ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নাটকীয় ম্যাচে খুলনার জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
নাটকীয় ম্যাচে খুলনার জয়

ঢাকা: শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আগের দিনই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল স্বাগতিক খুলনা বিভাগ। জাতীয় লিগের টায়ার ওয়ানের চারদিনের ম্যাচে শেষ দিন (১৩ অক্টোবর) রংপুর বিভাগের বিপক্ষে জমে উঠা লড়াইয়ে জয় তুলে নিয়েছে আব্দুর রাজ্জাক-ইমরুল কায়েস-তুষার ইমরান-এনামুল হক বিজয়দের খুলনা।



তৃতীয় দিন জয়ের পাল্লাটা খুলনার দিকে ঝুঁকে ছিল। তবে, শেষ দিনে জয়ের কাছাকাছি গিয়ে মাত্র ১৩ রানে হেরেছে নাঈম ইসলাম-নাসির হোসেন-সোহরাওয়ার্দি শুভদের রংপুর বিভাগ।

স্কোর: খুলনা: ২১১ এবং ২০৮
          রংপুর: ২২০ এবং ১৮৬
ফল: খুলনা জয়ী ১৩ রানে

এ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন নাসির হোসেন, এনামুল হক বিজয়, মেহেদি হাসান মিরাজরা। আর বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন খুলনার আব্দুর রাজ্জাক-মিরাজ সঙ্গে রংপুরের সঞ্জিত শাহা।

প্রথম ইনিংসে খুলনার ২১১ রানের জবাবে নাসির হোসেনের অনবদ্য ৯৬ রানে রংপুর তোলে ২২০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। ফলে, ২০০ রানের টার্গেট দাঁড়ায় অতিথিদের সামনে। তবে, রাজ্জাক-মিরাজদের বোলিং তোপে ১৮৬ রানে থেমে যায় রংপুর।

প্রথম ইনিংসে খুলনার হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৩ রান। এছাড়া ইমরুল কায়েস ২১, এনামুল হক ৪১, তুষার ইমরান ৩২ রান করেন।

রংপুরের হয়ে সোহরাওয়ার্দি শুভ ৪টি এবং সঞ্জিত শাহা ৪টি উইকেট তুলে নেন।

রংপুরের হয়ে প্রথম ইনিংসে নাসির হোসেন ৯৬ রানে বিদায় নেন। এছাড়া সোহরাওয়ার্দি ২৪, নাঈম ইসলাম ৪৪, ধীমান ঘোষ ২০ রান করেন। প্রথম ইনিংসে মিরাজ ৬টি আর রাজ্জাক ৪টি উইকেট তুলেন নেন।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে লিড বেশি দূর নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। ১৯৯ রানের লিড নিতে খুলনার হয়ে ওপেনার ইমরুল কায়েস করেন ১৩ রান আর মেহেদি হাসান করেন ৪১ রান। এনামুল হক ৩১, তুষার ইমরান ২৯ আর মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৩ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অতিথি হিসেবে খেলতে যাওয়া রংপুরের হয়ে সঞ্জিত শাহা একাই তুলে নেন ৭টি উইকেট।

২০০ রানের টার্গেটে নেমে তৃতীয় দিন দলীয় মাত্র ৫৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে। রাজ্জাক-মিরাজদের অসাধারণ বোলিংয়ে খুলনা জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে আগের দিনই। তবে, শেষ দিনে নাঈম ইসলাম, ধীমান ঘোষরা রংপুরকেই জয়ের পথে নিতে থাকেন। আগের দিন নাসির মাত্র ১৭ রান করে বিদায় নেন।

নাঈম ব্যক্তিগত ৩৮ রানে বিদায় নিলে ধীমান দলের হাল ধরেন। তবে, উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যান ব্যক্তিগত ৫৬ রানে সাজঘরে ফেরেন। আরিফুল হক অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যাওয়ার আগে ২০ রান করেন। এছাড়া দশম ব্যাটসম্যান সাদমান হোসেন ১৫ রান করলে জয়ের দিকে এগুতে থাকে রংপুর। শেষ পর্যন্ত আর টিকতে না পারলে নাটকীয় ম্যাচে ১৩ রানের জয় পায় খুলনা।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি করে উইকেট তুলে নেন রাজ্জাক এবং মিরাজ। ম্যাচ অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার উঠে দুই ইনিংসে ব্যাট হাতে ৬৩ ও ৩৩ রান করা এবং বল হাতে ১০ উইকেট নেওয়া মিরাজের হাতে।

দারুণ বোলিং করেছেন রংপুরের বোলার সঞ্জিত শাহা। ম্যাচের সর্বোচ্চ উইকেটও তার দখলে। প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট নেওয়া এ অফস্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ৭টি উইকেট সহ মোট ১১টি উইকেট তুলে নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, ১৩ অক্টোবর ২০১৫
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।