খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম থেকে: খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামেই প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল টাইগাররা। দীর্ঘ নয় বছর পর আবারো খুলনা শহরে ফিরছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) ওয়ালটন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে।
ইতিমধ্যে ম্যাচটিকে কেন্দ্র করে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ক্রিকেট বোর্ড। সাজানো গ্যালারি অপেক্ষা করছে দর্শক বরণের। দর্শকরাও মুখিয়ে আছেন মাশরাফি-সাকিব-মুস্তাফিজদের বছর শুরুর জয় দেখতে।
![](files/Khulna_Gallary_1_440449814.jpg)
স্টেডিয়ামটি ২০০৪ সালে উদ্বোধন হয়। একই বছর আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করা হয়। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়ার পর একই বছর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এ মাঠে ২টি ওয়ানডে খেলে কেনিয়া ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয় জিম্বাবুয়ের। সেই একই স্টেডিয়ামে পুরনো সেই প্রতিপক্ষের সঙ্গে আবার টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ে নামছেন টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগের এ সিরিজ নিয়ে সাধারণ দর্শকদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা তাই তুঙ্গে।
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামটি দেশের সপ্তম টেস্ট ভেন্যু। ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর খুলনার মাটিতে প্রথম টেস্ট ম্যাচ গড়ায়। এরপর এ মাঠে আরও দুটি টেস্ট এবং দুটি ওয়ানডে ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়।
![](files/January2016/January14/Khulna_Gallary_2_520799384.jpg)
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পথচলা শুরু খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের। এর মাঝে মাত্র ৩ টেস্ট, চার ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের কীর্তিটা টাইগাররা গড়েছিলো এই ভেন্যুতেই ২০১২ সালে। এ মাঠে প্রথম এবং শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলো ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
খুলনার মাটিতে অনুষ্ঠিত তিন ধরনের ক্রিকেটেরই স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে সবগুলো টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আর এ মাঠে দেখা গেছে বেশকিছু বিশ্বরেকর্ডও। তাই তো খুলনার এ স্টেডিয়ামকে ‘লাকি ভেন্যু’ও বলা হয়।
![](files/Khulna_Gallary_3_906320946.jpg)
ভেন্যু ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার কচি বাংলানিউজকে জানান, উইকেট, আউট ফিল্ড তৈরিসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দশ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এ স্টেডিয়াম এখন দর্শক বরণের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিদেশিদের পাশাপাশি আসরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনস্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন দুই হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫
এমআরএম/এমজেএফ/
** শীত নাই, টিকিট চাই