ঢাকা: প্রায় দুই দশক বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানের তকমা নিয়ে লড়াই হয়েছে শচীন টেন্ডুলকার ও ব্রায়ান লারার। কখনও টেন্ডুলকার এগিয়ে গেছেন, কখনও লারা।
বিশ্বের সেরা মেধাবী ক্রিকেটার হিসেবে লারাকে এগিয়ে রেখেছেন ৫৫ বছর বয়সী ডেভিড বুন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘খুব অল্পসংখ্যক ক্রিকেটার সহজাত প্রতিভা নিয়ে জন্মেছিলেন। যারা ক্রিকেট বিশ্বকে শাসন করে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত খেলেছেন। তাদের মধ্যে মেধাবী ক্রিকেটার ছিল টেন্ডুলকার আর লারা। কিন্তু, আমি যদি তাদের থেকে একজনকে বেছে নেই, তাহলে লারাকেই বেছে নেব। সে সত্যিই প্রতিভাবান ক্রিকেটার ছিল। ’
অজিদের হয়ে ১০৭টি টেস্ট আর ১৮১টি ওয়ানডে খেলা ডেভিড বুন আরও জানান, ‘আমি বেশ ভালো করেই জানি লারাকে বেছে নেওয়ায় অনেকেই শচীনের জন্য আক্ষেপ করবেন। কিন্তু, আমি জানিয়ে রাখতে চাই শচীন যেকোনো কন্ডিশনে, যেকোনো ফরমেটে সেরাদের সেরা। সে পরিশ্রমী একজন ক্রিকেটার। ম্যাচে এবং ম্যাচের বাইরে সে কঠিন পরিশ্রম করতো আর মানসিকভাবেও সে যথেষ্ট শক্ত ছিল। তার যুগে সে সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন, আর এটাও মনে রাখা উচিৎ সহজাত প্রতিভা সম্পন্ন ক্রিকেটারদের মাঝে শচীন সেরাদের একজন। ’
টেন্ডুলকার ক্রিকেটের প্রায় সব রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন। এদিকে, বলা হয়ে থাকে লারা দ্বীপরাষ্ট্র থেকে উঠে এসে আলো কেড়েছেন গোটা বিশ্বের। অবশ্য রান আর সেঞ্চুরি বিবেচনায় টেন্ডুলকার অদ্বিতীয়। ২০০ টেস্টে লিটল মাস্টারের রান সংখ্যা ১৫ হাজার ৯২১ আর ৪৬৩ ওয়ানডেতে তার রান ১৮ হাজার ৪২৬। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে গড়েছেন সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি (টেস্টে ৫১ ও ওয়ানডেতে ৪৯টি)।
রান বা সেঞ্চুরির আলোকে অবশ্য টেন্ডুলকারের চেয়ে বেশ পিছিয়ে লারা। ক্রিকেটের এই বরপুত্রের ১৩১ টেস্টে রানসংখ্যা ১১ হাজার ৯৫৩, আর ২৯৯ ওয়ানডেতে তার রান ১০ হাজার ৪০৫। টেস্ট ও ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি যথাক্রমে ৩৪ ও ১৯টি। একটা দিক থেকে অবশ্য এগিয়ে লারা। টেস্টের এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ (অপরাজিত ৪০০ রান) ইনিংসটা তার। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মহাকাব্যিক ইনিংসটি খেলেছিলেন লারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
এমআরপি