ঢাকা: জাতীয় দলের দরজা হয়তো বন্ধই হয়ে গেছে পাকিস্তানের সিনিয়র ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির জন্য। তবে, শেষবারের মতো খুব শিগগিরই বিশেষ উপায়ে আবারো জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামতে পারেন ‘বুমবুম’ আফ্রিদি।
ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেওয়ার সুযোগ হয়নি আফ্রিদির। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজেও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকরা আফ্রিদিকে রাখেননি।
তাতে পাকিস্তানের সিনিয়র এই অলরাউন্ডার টি-টোয়েন্টি থেকেও অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছেন। বোর্ডের কাছে শেষবারের মতো একটি ম্যাচ খেলা অবস্থায় মাঠ থেকে বিদায় নিতে চান বলেও গুঞ্জন উঠেছে।
সম্প্রতি আফ্রিদি সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘যখন আমার সময় হয়ে আসবে নিজে থেকে ক্রিকেট ছেড়ে দেব। আমাকে কেউ ক্রিকেট থেকে ছেঁটে ফেলবে এমনটা বরদাস্ত করবো না। ’ পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হককে উদ্দেশ্য করে তিনি যোগ করেন, ‘আমি এখনও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দিতে সক্ষম। যদি আপনি চান যেকোনো ফরমেটে তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমি খেলতে প্রস্তুত। ’
দেশের হয়ে ৯৮ টি-টোয়েন্টি খেলা সাবেক দলপতি শহীদ আফ্রিদিকে হয়তো অপেক্ষায় থাকতে হবে পরবর্তী টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগ পর্যন্ত। এর আগে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আফ্রিদিকে ছাড়াই টি-টোয়েন্টির দল ঘোষণা করেছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও প্রথমবারের মতো বাদ পড়েন আফ্রিদি।
আগামী ২৩, ২৪ আর ২৭ সেপ্টেম্বর দুবাই স্টেডিয়ামে বর্তমান টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান। ইতোমধ্যেই ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পিসিবি।
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল:
সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), শারজিল খান, খালিদ লতিফ, বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইমাদ ওয়াসিম, হাসান আলী, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ, সোহেল তানভির, মোহাম্মদ নওয়াজ, শোয়েব মালিক, উমর আকমল, সাদ নাসিম, রুম্মান রইস।
তবে, পাকিস্তান দলের জাতীয় নির্বাচক কমিটির এক সদস্যের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি মিডিয়া জানাচ্ছে, আরব আমিরাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজের বিদায়ী ম্যাচ খেলার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে কথা বলেছেন ৩৬ বছর বয়সি আফ্রিদি। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি নেবেন পিসিবির চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান। যিনি চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন।
নির্বাচক প্যানেলের ওই সদস্য আরও জানান, বোর্ড আফ্রিদিকে আসন্ন সিরিজেই সুযোগ দিতে পারে। বোর্ডের কাছ থেকে ভালো একটি বিদায়ের সুযোগ অন্তত পাবেন তিনি। তাতে, ১৫ সদস্যের ঘোষিত দলটি ১৬ সদস্যের হতে পারে। এখন দেখাই যাক, পরবর্তীতে কি ঘটে।
পাকিস্তানকে সর্বোচ্চ ৪৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আফ্রিদি। যেখানে তার দল জিতেছিল ১৯টি ম্যাচ আর হেরেছিল ২৩টি ম্যাচ। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। তার নেতৃত্বে পাকিস্তান জিতেছে ৪৫.৩৪ শতাংশ ম্যাচ। বাংলাদেশে আয়োজিত এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ও ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অধিনায়কত্ব ছাড়েন তিনি। দুই টুর্নামেন্টে তার নেতৃত্বে পাকিস্তান আট ম্যাচের মাত্র তিনটিতে জিতেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬
এমআরপি